সংরক্ষণ বিরোধী ছাত্র-যুবদের আন্দোলনের জেরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি বাংলাদেশ জুড়ে। দেশের সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ নীতি সংশোধনের কথা বললেও আন্দোলন থামেনি। সংরক্ষণ বিরোধী পড়ুয়াদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও আধাসেনার হামলার জেরে ক্ষোভে ফুঁসছে বাংলাদেশ। কার্যত বনধের চেহারা নিয়েছে গোটা দেশ। আরও পড়ুন-‘বিরোধী হলেই রাজাকার…’, কোটা আন্দোলে জ্বলছে বাংলাদেশ! শান্তির বার্তা ‘জামাই’ কবীর সুমনের
এখনও পর্যন্ত কোটা বিরোধী রক্তক্ষয়ী আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছে ১৬১ জন, নিখোঁজ বহু। তাই মৃতের সংখ্যা বাড়বে বলেই আশঙ্ক্ষা। সুপ্রিম নির্দেশের পরেও আন্দোলনকারীদের সাফ কথা, শেখ হাসিনার সরকার আগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করুক, তার পর হটবেন তাঁরা। নাহলে নয়। ‘সর্বাত্মক অবরোধ’ পালন করছেন আন্দোলনকারীরা।
বাংলাদেশ নিয়ে দেবের প্রতিক্রিয়া
নিরস্ত্র ছাত্রের উপর পুলিশের গুলি চালানোর নির্মম ভিডিয়ো দেখে কেঁপে উঠেছে গোটা বিশ্ব। পড়শি দেশের পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তিত ভারতবাসীও। বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এবার মুখ খুললেন অভিনেতা তথা ঘাটালের তৃণমূল সাংসদ দেব। এদিন এক্স হ্যান্ডেলে দেব লেখেন, ‘আমার চোখে অন্যতম শান্তিপ্রিয় রাষ্ট্র, ভালোবাসার দেশ বাংলাদেশ… আমার মন কাঁদছে বাংলাদেশের মানুষের জন্য। প্রার্থনা করছি দ্রুত শান্তি ফিরুক। শুধু আমি নই, গোটা ভারত প্রার্থনা করছে বাংলাদেশের জন্য’।
প্রসঙ্গত, এদিন ২১ শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে প্রয়োজনে অসহায় বাংলাদেশিদের আশ্রয় দেওয়ার কথা বলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার কয়েকঘন্টার মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দেবের।
এদিন ঠিক কী বলেছেন দেবের দলনেত্রী?
বাংলাদেশে পড়ুয়াদের আন্দোলনের মধ্যেই রবিবার মমতা বলেন, 'বাংলাদেশ নিয়ে কিছু বলব না। ওটা আলাদা দেশ। যা বলবে ভারত সরকার বলবে। তবে আমি এটুকু বলতে পারি, যদি অসহায় মানুষ বাংলার দরজায় কড়া নাড়ে তাহলে আমরা নিশ্চিত ভাবে আশ্রয় দেব। রাষ্ট্রসংঘের একটা নির্দেশ আছে, কেউ যদি শরণার্থী হন, তাহলে তার পাশের এলাকাকে সেই বিষয়টা সম্মান জানাতে হবে। তবে বাংলাদেশ নিয়ে কোনও প্ররোচনায় পা দেবেন না। আমরা যেন কোনও অশান্তি না করি। বাংলাদেশ নিয়ে আমরা যেন কোনও উত্তেজনায় না জড়াই। তবে তাদের প্রতি আমাদের সহমর্মিতা রয়েছে।'
বাংলাদেশের সুপ্রিয় কোর্টের নির্দেশ
রবিবার বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্ট সংরক্ষণ নীতিতে সংশোধনের কথা স্পষ্ট জানিয়েছে। বলা হয়, ১৯৭১-এর যুদ্ধে অংশ নেওয়া পরিবারদের সংরক্ষণ কমিয়ে ৫ শতাংশ এবং আরও ২ শতাংশ সংরক্ষণ রেখে ৯৩ শতাংশ শূন্যপদেই মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ করতে হবে সরকারকে। আদালতের এই রায়কে পড়ুয়ারা দু-হাত খুলে স্বাগত জানালেও আন্দোলন থেকে সরে আসতে না-রাজ।