একদিকে আরজি কর নিয়ে উত্তাল গোটা বাংলা। তারই মাঝে বাংলারই দুই তারকা জড়ালেন বিতর্কে। আর এর মূলে রয়েছে একটি শাড়ি। ঋতাভরী চক্রবর্তীর মা, অভিনেত্রী-পরিচালক শতরূপা সান্যাল একটি শাড়ি কিনেছেন কেয়া শেঠস এক্সক্লুসিভ থেকে। আর তাঁর অভযোগ নকল শাড়ি দেওয়া হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে একটি লম্বা পোস্টও করেন তিনি সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর যা নিয়ে আবার জবাব দিয়ে ভিডিয়ো বার্তা শেয়ার করেছেন কেয়া শেঠ নিজে। তিনিও একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন শতরূপা সান্যালের দিকে।
শতরূপা সান্যালের ফেসবুক পোস্ট:
শতরূপা লেখেন, কেয়া শেঠস এক্সক্লুসিভ থেকে তিনি একটি বোমকাই শাড়ি কিনেছিলেন। আর তাতেই ঠকে গিয়েছেন। ডিসকাউন্ট দিয় তাঁর থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে নকল মাল পাঠিয়েছে। শতরূপার কথায়, ‘টার দাম হয়তো ১০০০ টাকাও হবেনা। সুতরাং, কাস্টমার কেয়ারে তৎক্ষণাৎ জানালাম, এটা নকল, ফেরত দিতে চাই। তারা মেইলে ও ফোনে জানালো- ফেরৎ হয়না! বদলও হয়না!! পলিসি তাদের এ রকমই। লোক ঠকানোর কী নির্লজ্জ ধান্দা! আমার পুরো টাকাটাই জলে!’
তিনি আরও লেখেন, ‘আমারও দোষ আছে বৈকি! বহু বিজ্ঞাপিত ব্র্যান্ডকে একটুও না সন্দেহ করে জিনিস কেনা এবং এত বেশি ডিসকাউন্টের ব্যাপারটায় বিশ্বাস করা! নইলে,ওই টাকায় নকল বোমকাই-ই তো মিলবে। কিন্তু, প্রশ্ন হচ্ছে যে, সেটা কিন্তু বিক্রেতার আগেই জানিয়ে রাখার কথা। পুজোর সময় কম বেশি কেনাকাটি সকলেই করবে, জানা কথা। আমি শুধু তোমাদের সতর্ক করে দিলাম, এই বিক্রেতাদের সম্পর্কে। তোমরা অন্যদেরও সতর্ক করে দিও।’
শতরূপার এই পোস্টে কমেন্ট করেন মেয়ে চিত্রাঙ্গদাও। তিনি লেখেন, ‘ওদেরকে ট্যাগ করো’। তাতে অভিনেত্রীর জবাবা, ‘আমি তো ট্যাগ করতে পারি না রে মা…’
কেয়া শেঠের জবাব:
শতরূপার কাছ থেকে এই ফেসবুক পোস্ট আসতে না আসতেই, নিজের বক্তব্য ভিডিয়ো করে সামনে আনেন কেয়া। সেখানে কার্যত তিনি একহাত নিয়েছেন শতরূপা, চিত্রাঙ্গদাকে। তাঁর পালটা অভিযোগ, সাইটেই শাড়ির বিবরণীতে লেখা ছিল এটি ‘আসল নয়’। তাই সেটা না দেখে, শাড়ি অর্ডার করা শতরূপারই ভুল। এমনকী, চিত্রাঙ্গদাকে তিনি পরামর্শ দেন, মাকে ট্যাগ করা শেখানোর সঙ্গে সঙ্গে তিনি যেন, শাড়ির এসব বিবরণীও ভালো করে বুঝিয়ে দেন তাঁদের মা-কে।
কেয়াকে আরও বলতে শোনা যায়, বহুবছর আগে তাঁর কাছে শতরূপা এসেছিলেন সিনেমার স্ক্রিপ্ট নিয়ে গল্প শোনাতে, প্রযোজক হওয়ার জন্য অনুরোধ নিয়ে। তাই তাঁর ফোন নম্বর আছে, শতরূপার কাছে। তাও তাঁকে সরাসরি ফোন না করে, এভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কুৎসা’ তাঁর ব্র্যান্ডের ভাবমূর্তির ক্ষতি!
সঙ্গে কেয়া আরও বলেন, তাঁর ব্র্যান্ডে রিটার্নের কোনও অপশন নেই, যদি না শাড়ি ছেড়াফাঁটা বেরোয়। তবুও শতরূপা ও তাঁদের দুই তরফে কিছু মেইল চালাচলির পর তাঁদের থেকে প্রস্তাব এসেছিল, শো রুমে এসে শাড়ি বদলে নিয়ে যাওয়ার। এরই মাঝে এরকম ফেসবুক পোস্ট আসতে পারে, তা তিনি ভাবেননি।