আমরা অনেকেই প্রিয় তারকা জুটিকে আদর্শ মনে করি। তাঁদের শেয়ার করা ছবি, ভিডিয়ো পেলেই পাগল হয়ে যাই। তাঁদের একসাথে দেখতে পেলে মনে হয়, ‘প্রেম তো এরকমই’! আর এই জুটিরাই যখন একে-অপরের থেকে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তখন মন ভাঙে হাজার হাজার অনুরাগীর। ২০২১ সালে বিচ্ছেদ হয়েছে বহু তারকার, তালিকায় আছেন আমির-কিরণ সামান্থা-নাগা, নুসরত-নিখিল, শ্রাবন্তী-রোশনদের। আর ২০২২ সালের শুরুতেই আরও এক চর্চিত তারকা জুটি ধনুশ ও ঐশ্বর্যর বিবাহ বিচ্ছেদের খবর সামনে এসেছে।
সকলে যখন তারকাদের এভাবে ঘর ভাঙায় মনে কষ্ট পাচ্ছে, তখনই পরামর্শ এল বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্রের কাছ থেকে। তারকাদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, তাঁরা যেন তাঁদের ব্যক্তিগত জীবন সকলের সামনে আনা থেকে বিরত থাকেন। সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একে-অপরকে দোষ দেওয়া, একে-অপরকে নিন্দেও যেন না করেন সকলের সামনে।
‘আমার একটা প্রশ্ন করার আছে তাঁদের যাঁরা তারকাদের নিয়ে গসিপ করতে ভালোবাসেন, আমাদের কি সত্যি জীবন এত রঙিন যে আপনারা চর্চা করেন? মানুষ তারকাদের ব্যাপারে তখনই বেশি কথা বলেন, যখন তাঁদের ব্রেকআপ বা ডিভোর্স হয়। আর সেটা বেশি হয় যখন তাঁরা একে-অপরের সমালোচনা শুরু করেন। ফলে লোক চর্চা করার বেশি উৎসাহ ও বিষয়বস্তু পেয়ে যান। মানুষ যা ইচ্ছে বলতে শুরু করেন, আর তার ফলে চিপ পাবলিসিটি শুরু হয়ে যায়।’, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন অভিনেত্রী।
শ্রীলেখা তাঁর পোস্টে আরও লেখেন তিনি মনে করেন তারকারা নিজেরাই চাইলে এগুলো বন্ধ করতে পারেন। তিনি তাঁর সহকর্মী, তারকা বন্ধুদের অনুরোধ জানান, তাঁরা যেন নিজেদের বিচ্ছেদের খবর এভাবে সকলের সামনে ঘোষণা না করেন। এই ধরনের খবরকে যেন পাবলিক প্রপারটি না বানান। প্রশ্ন তোলেন, কেন বিচ্ছেদের কথা সবাইকে জানাতে হবে? কেন সবাইকে জানাতে হবে বিচ্ছেদের কারণ?
সঙ্গে বিচ্ছেদের পর একে-অপরকে দোষ দেওয়া নিয়েও লেখেন শ্রীলেখা। একে-অপরকে সকলের সামনে খারাপ দেখানোর কি প্রয়োজন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁর মতে, ডিভোর্স হয়ে গেলেও বা ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলেও উচিত ভালো ব্যাপারগুলো নিয়ে চর্চা করা। শ্রীলেখা আরও জানান, যেমনটা করে থাকেন তিনি ও তাঁর প্রাক্তন স্বামী। তাঁদের সেপারেশন হয়ে গেলেও কোনওদিন একে-অপরের নামে খারাপ কথা বলেননি বলেই জানান শ্রীলেখা। সঙ্গে বলেন আর এই কারণেই তাঁর মেয়ে একটি সুস্থ পরিবেশে বড় হয়ে উঠতে পারছে।