ছোটবেলার ছবির সঙ্গে নিজের বর্তমান চেহারার মিল খুঁজতে চেয়ে ঘোল খেয়েছেন কখনও? নিজেই নিজেকে চিনতে পারেন না নিশ্চয়ই। আপনি যদি ফিল্মি বাফ হল, বলুন তো দেখি, কে এই অভিনেত্রী?
চলুন কিছু টিপস দেওয়া যাক। বাংলার এই অভিনেত্রী টলিউডের সঙ্গে সঙ্গে দাঁপিয়ে বেড়়ান রাজনীতির মঞ্চও। তাঁর বিয়ে আর সন্তান নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। যদিও কেরিয়ারের শুরু থেকেই বিতর্ক পিছু করেছে। তবে কোনওদিনই সেসবে মাথা ঘামাননি। বেঁচেছেন নিজের শর্তে।
ঠিকই ধরেছেন অভিনেত্রী নুসরত জাহানের ছোটবেলার ছবি এটি। যার আরেক পরিচয় তৃণমূল কংগ্রেসের তারকা সাংসদ। নুসরতের এই ছোটবেলার ছবিখানা ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল একটি ফ্যান পেজের তরফ থেকে। নুসরত নিজেও তা ভাগ করে নেন নিজের ইনস্টা স্টোরিতে।
অভিনেত্রী এখন ভ্যাকেশনে। স্বামী যশের সঙ্গে রয়েছেন মলদ্বীপে। সেখান থেকে নানা মুডে ছবি শেয়ার করে চলেছেন সোশ্যালে। নুসরত কেরিয়ার শুরু করেন শত্রু দিয়ে ২০১১ সালে। শেষ তাঁকে দেখা গিয়েছে স্বস্তিক সঙ্কেত সিনেমায়। শেষ করে ফেলেছেন জয়কালী কলকত্তেওয়ালী, মাস্টারমশাই আপনি কিছু দেখেননির কাজ। যদিও শেষ ছবিটি আটকে রয়েছে কিছু আভ্যন্তরীন ঝামেলার কারণে। মক্তির অপেক্ষায় রয়েছে শিকারও। যাতে জুটিতে দেখা যাবে নুসরত আর যশকে। এই সিনেমায় রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও। একইসঙ্গে চলতি বছরেই নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা নিয়ে এসেছেন যশরত। আসছে প্রথম ছবি মেন্টাল। তাতেও জুটি বাঁধবেন স্বামী আর স্ত্রীতে।
এই বিয়ে নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। করোনা আর লকডাউন চলাকালীন ২০২১ সালে হঠাৎই খবর আসে নুসরত মা হতে চলেছেন। তখনও তাঁর পরিচিতি ব্যবসায়ী নিখিল জৈনের স্ত্রী হিসেবেই। তবে নুসরতের প্রেগন্যান্সির খবর সামনে আসার পরেই নিখিল জানিয়ে দেন তিনি ‘সন্তানের বাবা’ নন। সেইসময় যশের সঙ্গেই থাকছিলেন, এমনকী, হাসপাতালে ডেলিভারির সময়তেও যশই আগলে রেখেছিলেন নুসরতকে। যাই হোক এরপর ছেলে ঈশানের জন্মের পর, বার্থ সার্টিফিকেট ভাইরাল হয়। আর জানা যায়, নুসরতের সন্তানের বাবা যশই। এৎপর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর মেলে, ২০২০ সালের শেষলগ্নেই বিয়েটা সেরে ফেলেছিলেন দুজনে।
সম্প্রতিও বড় বিতর্কে পড়তে হয় অভিনেত্রী। যখন তাঁর বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে। ইতিমধ্যে একবার ইডি-র মুখোমুখিও হয়েছেন। সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচার প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার অধিকর্তা তথা ডিরেক্টর ছিলেন নুসরত বছরখানেক আগে। ২০১৪ সালে তাঁর সংস্থা ৪২৯ জনের কাছ থেকে ৫ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা করে নিয়েছিল ৩ বিএইচকে ফ্ল্যাট দেওয়ার নাম করে। কিন্তু ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও কেউ ফ্ল্যাট হাতে পায়নি। না হাতে পেয়েছে টাকা। নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, অবসরপ্রাপ্ত ব্যঙ্ক কর্মীদের টাকা মেরে তিনি নিজের ফ্ল্যাট কিনেছেন। এরপর বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রতারণার শিকার হওয়া বৃদ্ধদের নিয়ে ইডি দফতরে গিয়ে নালিশ জানিয়ে এসেছিলেন। আপাতত সেই মামলা ইডির বিচারাধীন।