গৌরী এলো সিরিয়ালে কাজ করছিলেন সুচন্দ্রা মল্লিক। সেখানের শ্যুটিং থেকে বাড়ি ফেরার সময়ই মৃত্যু হয় তাঁর। এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল তাঁর। খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোকের ছায়া নেটপাড়ায়। এক তরুণীর জীবন চলে যাওয়ায় অনেকেই দুঃখপ্রকাশ করেছেন। ট্রাফিক পুলিশের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন টলিউডের পরিচালক শিলাদিত্য মৌলিক।
জানা যাচ্ছে, মাত্র ৩০ বছর বয়স সুচন্দ্রার। শনিবার শুটিং শেষ হতে একটু রাত হয়েছিল। অনলাইনে একটি মোটরবাইক বুক করেছিলেন সুচন্দ্রা। পানিহাটিতে বাপের বাড়িতে ফিরছিলেন। কিন্তু বাবার কাছে আর আসা হল না তাঁর। মাঝপথেই পরিবারের সকলকে কাঁদিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। মা হারা সুচন্দ্রাকে বড় করেছেন তাঁর বাবাই। বিয়ে হয়ে বরের সঙ্গে থাকতেন নরেন্দ্রপুরে একটি আবাসনে।
শনিবার রাতে বরাহনগরে একটি ট্র্যাফিক সিগন্যালে ওই বাইকটির সামনে আচমকা সাইকেল এসে পড়ে। চটজলদি ব্রেক কষেন চালক। ঝাঁকুনির চোটে নিয়ন্ত্রণ হারায় মোটরবাইকটি। বাইক থেকে উল্টে পড়ে যান অভিনেত্রী। আর তখনই বাইকটির পিছন দিক থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল একটি দশ চাকার লরি। পিষে যান অভিনেত্রী। ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘাতক লরির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
খবর ছড়িয়ে পড়তেই ট্রাফিক পুলিশের উপর ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ‘সোয়েটার’ সিনেমার পরিচালক শিলাদিত্য। ইনস্টাগ্রামে সুচন্দ্রার মৃত্যু নিয়ে প্রকাশিত একটি নিউজ আর্টিকেলের স্ক্রিনশট শেয়ার করে লিখলেন, ‘শহরের জনবহুল রাস্তা দিয়ে প্রায়ই দেখা যায় দ্রুতগতি ট্রাক। ট্রাফিক পুলিস শুধু গভীররাতে মদ্যপ গাড়িচালকের থেকে ফাইনের টাকা নিতে ব্যস্ত। পুজো, নববর্ষ এসব সময় তাঁরা এই ব্যাপারে আরো কর্মঠ হয়ে ওঠেন। দাদা, যন্ত্রে ফুঁ দিতে অসুবিধা নেই কিন্তু নির্দোষ কয়েকটা মানুষের জীবন এক ফুঁয়েই উড়ে যাচ্ছে ওটাও একটু দেখুন।’
জি বাংলার ‘গৌরী এলো’-র টিম হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকেজানিয়েছে, ‘সুচন্দ্রা দাশগুপ্ত গৌরী এলো ধারাবাহিকে কাজ করেছেন ঠিকই, তবে সেটা গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে বেশ কয়েকটা দিন একটা ছোট্ট চরিত্রে উনি অভিনয় করেছিলেন। সেটা ছিল এক ওঝার শিষ্যার চরিত্র, আলাদা করে ওই চরিত্রের কোনও নাম ছিল না। খুবই অল্প দিন উনি কাজ করেছিলেন, তবে বর্তমানে তিনি গৌরী এলোর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।'
অন্য দিকে গৌরী মোহনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘ঘুম থেকে উঠে হোয়াটসঅ্যাপ খোলার পরেই আমি সুচন্দ্রাদির খবরটা জানতে পারলাম। খবরটা দেখে সত্যিই খারাপ লাগছে। ও নেই সেটা ভাবতেই পারছি না।’