নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে রবিবার ১৮ অগস্ট বাতিল করা হয়েছিল ডার্বি ম্যাচ। তবে খেলা বাতিল হলেও মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল সমর্থকরা যুবভারতীতে ভিড় করেছিলেন। এছাড়াও কাতারে কাতারে মানুষ সেখানে গিয়েছিলেন, শুধুমাত্র আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সরব হতে। সকলের একটাই দাবি, আরজি কাণ্ডের বিচার চাই, অপরাধীকে ধরতে হবে।
যুবভারতীতে মানুষের বিক্ষোভে সামিল হয়েছিলেন অভিনেত্রী ঊষসী চক্রবর্তী, পরিচালক সৌরভ পালোধির মতো ব্যক্তিত্বরা। গিয়েছিলেন টলিপাড়ার পোশাকশিল্পী সন্দীপ জয়সওয়াল। তিনিও সেখানে পুলিশের লাঠিচার্জে আক্রান্ত হন। শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভে পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে রবিবারই সরব হয়েছিলেন ঊষসী। এবার তাঁর উপর পুলিশের লাঠিচার্জ নিয়ে ফেসবুকে সরব হলেন সন্দীপ জয়সওয়াল।
সন্দীপ কলকাতা পুলিশকে কিছুটা কটাক্ষ করেই লেখেন, ‘নৃশংসভাবে লাঠিচার্জ…এজন্য ধন্যবাদ কলকাতা পুলিশ। প্রাণ হাতে ফিরে এসেছি, এখনও সারা শরীর কাঁপছে। আমার পিঠ ও শরীরের পিছনের অংশে মারাত্মক ব্যথা। সে ছবি তো আর আপনাদের সামনে তুলে ধরতে পারছি না। এ-এক নরক যন্ত্রণা। আমার গাড়ির চালকও আক্রান্ত হয়েছে, প্রায় আধমরা অবস্থা। কোনওমতে ফিরে এসেছি। আর এসবই ঘটেছে সল্টলেক যুবভারতী স্টেডিয়ামে।’
সন্দীপের পোস্টে কমেন্ট করেছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী, মানালি মণীষা দে। সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকেই। পুলিশের এই লাঠিচার্য,এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে নজরুলের কবিতার লাইন তুলে ধরে সন্দীপ আরও একটা পোস্ট করেছেন, ‘যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না, অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণে-ভূমে রণিবে না।’
যুবভারতীতে পুলিশের লাঠিচার্জের ঘটনায় সরব হয়েছেন ঊষসী চক্রবর্তীও। ঊষসী HT বাংলাকে রবিবার বলেন, ‘লাঠিচার্জ তো আমার সামনেই হয়েছে। দেখলাম তো লাঠিচার্জ হচ্ছে। আমার গায়ে পড়তে পড়তে ওই জায়গাটা থেকে সরে এসেছি। আমরা খুব সাধারণ স্লোগান দিচ্ছিলাম। উই ওয়ান্ট জাস্টিস, খুব নরমাল স্লোগান, ইস্টবেঙ্গল-মোহনবাগান সমর্থরা মিলে। আমার সঙ্গে পরিচালক সৌরভ পালোধি ছিল, পরিচালক অভিষেক সাহা ছিল। আর অসংখ্য সাধারণ সমর্থকরা ছিল। কারওর হাতে আমি তো অন্তত অস্ত্র ছিল বলে দেখিনি।'
তবে যুবভারতীতে পুলিশের লাঠিচার্জ থেকে ঊষসী বের হয়ে আসতে পারলেও পারেননি সন্দীপ। প্রসঙ্গত কাজের দুনিয়ায় সন্দীপ টলিপাড়ার অত্যন্ত নামী ডিজাইনার। সম্প্রতি শর্মিলা ঠাকুর, সোহা আলি খানের সঙ্গেও কাজ করেছেন তিনি।