টলিউডে বিবাদ বা বিতর্ক কিছুই নতুন নয়। অনেক সময়ই দুই অভিনেতা, বা অভিনেতা পরিচালক, বা অভিনেতা প্রযোজক সমস্যায় জড়ান আবার তাঁরা নিজেরাই সেটার সমাধান করে নেন। সম্প্রতি তেমনই এক বিবাদে জড়িয়েছেন তৃণা সাহা এবং সোহিনী সরকার। ‘মাতঙ্গী’ ওয়েব সিরিজের সেটেই যত বিপত্তির সূচনা।
গত মাসের শেষে অর্থাৎ জুলাইয়ের শেষে ‘মাতঙ্গী’ সিরিজের শুটিং শুরু হয়। সেখানে দুই অভিনেত্রীর মধ্যে সমস্যার সৃষ্টি হয়। শোনা যাচ্ছে প্রযোজনা সংস্থার তরফে সোহিনী সরকারকে যা যা বেনিফিটস্ দেওয়া হচ্ছিল সেই একই জিনিসগুলো তৃণাও দাবি করেন সহ অভিনেত্রী হিসেবে। কিন্তু তিনি যখন সেই সুবিধাগুলো পাননি তখনই শুরু হয় সমস্যা। এবং তিনি শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান।
ছোট পর্দার ভীষণই জনপ্রিয় মুখ তৃণা। তিনি এবার ছোট পর্দার পর ওয়েব সিরিজ এবং বড় পর্দায় নিজের পাকাপাকি জায়গা করার জন্য মন দিয়েছিলেন। অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘ইস্কাবনের বিবি’ ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। এছাড়া তিনি তাঁর রিয়েল লাইফ বর অর্থাৎ নীল ভট্টাচার্যের সঙ্গে সৌম্যজিৎ আদকের ছবিতে কাজ করবেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই একাধিক সিরিজ এবং ছবির পাশাপাশি তাঁর কাজের তালিকায় ছিল ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন হাউজের ‘মাতঙ্গী’ সিরিজ। আর সেখানেই বাঁধল গোল।
সোহিনীর সঙ্গে এই সমস্যার কারণেই নাকি এখন ইন্ডাস্ট্রির বহু পরিচালক এবং প্রযোজক তৃণাকে নিজেদের প্রজেক্টে নেওয়ার আগে দুবার ভাবছেন। এমনটাই টলি পাড়ার অন্দরে কান রাখলে শোনা যাচ্ছে। ক্যামেলিয়া প্রোডাকশন হাউজের সঙ্গে ঝামেলা মেটাতে চাইলেও এই প্রযোজনা সংস্থা কিন্তু তাঁকে ছাড়াই কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘আমি চুপ বলেই সব দোষ আমার ঘাড়ে!’ সোহিনী-র সঙ্গে ঝামেলার ঘটনায় মুখ খুললেন তৃণা
তবে কেবল ‘মাতঙ্গী’ নয়, ‘গভীর জলের ফিশ’ সিরিজের শুটিংয়ের সময়ও নাকি তৃণার ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হন অনেকেই। সেই ঝামেলাও অনেক বড় রূপ ধারণ করেছিল। যদিও এই সিরিজের চিত্রনাট্যকার আনন্দবাজারকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন এমন কোনও ঘটনার কথা তিনি জানেন না।
তবে ‘মাতঙ্গী’র ঝামেলা প্রসঙ্গে ক্যামেলিয়া প্রোডাকশনের অন্যতম মাথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ HT বাংলাকে জানিয়েছেন, 'কোনও বিষয়ে কারও খারাপ লাগতে পারে, মন খারাপ হতে পারে কিন্তু তার জন্য গোটা ফ্লোর ভুগবে কেন? উনি আমাদের বন্ধু। পরে উনি ক্ষমাও চেয়েছেন। কিন্তু ক্ষমা চাইলেই কি সব হয়? সব ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায়? আমি জানি ওঁর মতো সৎ সাহস হয়তো অনেকেরই নেই, তার জন্য আনন্দিতও। কিন্তু গোটা ফ্লোরকে এই জন্য ভুগতে হয়েছে।'