আরজি করের চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণ ও খুনের মামলায় বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন চালাতে দেখা যাচ্ছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টে RG Kar মামলায় গত সোমবারের শুনানি চলাকালীন রাজ্য সরকার দাবি করে, ডাক্তারদের আন্দোলনের জেরে ২৩ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এদিকে ৬ লাখ রোগী নাকি এই সময়কালে চিকিৎসা পাননি। আর এরপরই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি বলেন, অবিলম্বে যদি সব চিকিৎসকরা কাজে যোগ দেন, তাহলে তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না। তবে যদি এরপরও কর্মবিরতি জারি থাকে, তাহলে রাজ্য সরকার নিজের মতো করে পদক্ষেপ নিতে পারবে।
তবে সুপ্রিম নির্দেশের পরও আন্দোলন থেকে পিছু হটেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁরা স্বাস্থ্যভবনের সামনে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাঁদের আন্দোলনে পূর্ণ সমর্থন রয়েছে আম-জনতার। প্রতিমুহূর্তে বেশিরভাগ সাধারণ মানুষের থেকে থেকে সাহায্য পাচ্ছেন তাঁরা। এদিকে ইতিমধ্যেই নবান্ন থেকে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে বৈঠকের ডাক এসেছে। তবে সেই বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিং-এর অনুমতি মেলেনি, বলা হয়েছে বৈঠকের ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে। তবে জুনিয়র ডাক্তারাও সিদ্ধান্তে অনড়। সাফ জানিয়েছেন, লাইভ স্ট্রিমিং ছাড়া তাঁরা বৈঠক করবেন না।
এদিকে এসবেরই মাঝে ফেসবুকের পাতায় আরও একবার জুনিয়র ডাক্তারদের হয়ে সুর চড়ালেন টলিপাড়ার প্রযোজক রানা সরকার। ডাক্তারদের আন্দোলনকে সমর্থন করে রানা লেখেন, ‘বার বার সুপ্রিম কোর্টের অর্ডারের কথা রেফার করছেন কেন? ওটার যে আর কোন দাম আর নেই সেটা বোঝার জন্য উকিল হতে হয়না। ডক্টররা সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে রাস্তায় বসে। শান্তিপূর্ণ গনতান্ত্রিক আন্দোলন কোন কোর্টের অর্ডারে বন্ধ হয়না। ভারত হওয়া সহজ না।’
এদিকে রানা সরকারের এই পোস্টের নিচে এক নেটিজেন প্রশ্ন করেন, ‘আপনি কি বলতে চাইছেন যে সুপ্রিম কোর্ট এর রায় এর কোনো মূল্য নেই?’ এই প্রশ্নের উত্তরে রানা লেখেন, 'মানুষের রায়ের কাছে সব ফেল'। এছাড়াও রানার এই পোস্টে আরও অনেক কমেন্টের বন্যা বয়ে যায়। যদিও পরে আবার পোস্টটি ডিলিটও করে দেন রানা সরকার।
এদিকে এদিনই আরও একটা পোস্টে রানা সরকার প্রশ্ন তোলেন, ‘শুধুমাত্র অফিসারদের কেন এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে? জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে না এই সমস্যা সমাধান করতে নেগোশিয়েট করার? আধিকারিকদের দায় চাকরি বাঁচানোর, সামাজিক দায় জনপ্রতিনিধিদের। দায়িত্বশীল মন্ত্রী নেতাদের এগিয়ে দিন সমস্যার সমাধান হবে আলোচনার মাধ্যমে। গণতন্ত্রে ভরসা থাকুক।’
এদিকে এখনও পর্যন্ত যা খবর, জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকে লাইভ স্ট্রিমিং-এ কোনও ভাবেই রাজি নয় নবান্ন। তবে ‘নো লাইভ নো ডিসকাশনে’ যখন অনড় আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তাররা। তবে নবান্নের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে যেহেতু তিলোত্তমা কেস বিচারাধীন রয়েছে সে কারণে লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয়। বৃহস্পবার সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি একথা জানান মুখ্যসচিব থেকে ডিজি।