ফের উঠতি মডেলের আত্মহত্যার চেষ্টা কলকাতায়। শুক্রবার গভীর রাতে যাদবপুর থানার নয়াবাদ এলাকার একটি হাউসিং কমপ্লেক্সে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এক উঠতি মডেল। পুলিশ এবং পরিচিতদের তৎপরতায় শেষমেষ প্রাণে বাঁচানো যায় তাঁকে। প্রাণে বেঁচে গেলেও আপাতত মুকুন্দপুরের বেসরকারি হাসপাতালে সঙ্কটজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।
জানা গিয়েছে, মাত্রাতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। গত ২৪ জুন, শুক্রবার গভীর রাতে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন ওই তরুণী। এরপরই আত্মহননের চেষ্টা করেন। ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমি বেঁচে থাকার জন্য অনেক সংগ্রাম করেছি। আমার পরিবার একমাত্র সবকিছুর জন্য দায়ী। এখন আমি শান্তি চাই, বিদায়।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কালনার বাসিন্দা ওই তরুণী। বিগত দেড় বছর ধরে মুকুন্দপুর এলাকার উত্তলিকা আবাসনে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেছিলেন। বেশ কিছু ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু বিশেষ উপার্জন করতেন না। পরিবারের সূত্রে খবর, এই নিয়ে পরিবারের সঙ্গে কয়েকবার মনোমলিন্য হয়েছে তাঁর।
২৪ জুন নরেন্দ্রপুরে একটি বাগান বাড়িতে আগমনী মিউজিক ভিডিয়োর শ্যুটিং সেরে ফিরেছিলেন ওই তরুণী। দুপুরের পর থেকে আচমকা নিরুদ্দেশ হয়ে যান। সুইচ অফ করে দেন মোবাইল ফোন। গভীর রাতে এক সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে নিজের পরিবারকে দোষারোপ করে, অনেকগুলি ঘুমের ওষুধ খেয়ে নেন। ভোর রাতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওই তরুণীকে।
পরিবার সূত্রে খবর, মেয়ের বেশিরভাগ খরচ তাঁরাই চালাতেন। মাসে ১০ হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, রান্নার লোকের বেতন, এমনকি বাজারের টাকাও তাঁরাই পাঠাতেন। ২২ জুন ২৮ বছরে পা রেখেছিলেন ওই তরুণী। কালনায় পৈতৃক বাড়িতে রাতে পার্টি করেছিলেন। এ দিন বাবার কাছে নতুন ফ্য়াশন বুটিক খোলার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা চেয়ে বসেছিল সে। এরপরই বাড়ির সদস্যরা বিষয়টি সম্মতি জানায়নি। ভাইয়ের সঙ্গে ওই তরুণীর বাগবিতণ্ডা হয়। সেদিন রাতেই সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ভাইকে ব্লক করেন ওই তরুণী। পরদিন গাড়ি করে কলকাতা ফিরে আসে সে। এরপরই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই কাণ্ড ঘটিয়ে বসেন ওই তরুণী।
হেল্পলাইন নম্বর: ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন - ৭৮৯৩০৭৮৯৩০