আরজি কর কাণ্ডের জেরে শহর উত্তাল। এদিকে আবার দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মহিলাদের যৌন হেনস্থা নিয়ে সম্প্রতি সামনে এসেছে হেমা কমিটির রিপোর্ট। তবে শুধুই কি দক্ষিণ! কলকাতা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি কি ধোয়া তুলসীপাতা! আজ্ঞে এক্কেবারেই তা নয়। বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেও যৌন হেনস্থা নিয়ে সম্প্রতি সরব হয়েছেন ঋতাভরী চক্রবর্তী, আর তাতে তিনি সমর্থন পেয়েছে রূপাঞ্জনা মিত্র, অনীক দত্ত, সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্যায় সহ আরও অনেকের। আর তাই নড়েচড়ে বসেছে টলিউড।
টলিপাড়ার অন্দরে নারী সুরক্ষা নিয়ে 'উইমেনস ফোরাম'-এর দাবি জানিয়ে লেখা হয়েছে সেই চিঠি। টলিপাড়ার মহিলা কর্মীরা একজোট হয়ে লিখেছেন এই চিঠি। যেটা কিনা টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান অরূপ বিশ্বাস, ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাস, ইমপার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত, আর্টিস্ট ফোরামের সভাপতি রঞ্জিত মল্লিকের কাছে পাঠানো হয়েছে। যেখানে নারী সুরক্ষা নিয়ে কমিটি গড়ার পাশাপাশি কয়েক দফা দাবিও জানানো হয়েছে সেই চিঠিতে।
ঠিক কী লেখা হয়েছে চিঠির বয়ানে?
চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘প্রত্যেকদিন আমাদের নানা ভাবে যৌন হেনস্তার শিকার হতে হয়। পাশাপাশি নিয়মিতভাবে নারী, শিশু এবং প্রান্তিক পরিচয়ের মানুষদের নির্যাতনের কথাও শোনা যায়। তবুও, আমাদের কাছে এমন কোনও কার্যকরী সহায়তা ব্যবস্থা নেই যেখানে ভারতীয় আইন অনুযায়ী যৌন হয়রানি প্রতিরোধ, নিষেধাজ্ঞা এবং প্রতিকারের দাবি জানাতে পারি।’
এদিকে যাঁদের উদ্দেশ্যে এই চিঠি লেখা হয়েছে, সেই চিঠি এখনও নাকি তাঁরা পাননি বলে আনন্দবাজারকে জানিয়েছেন টেলি অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, ইমপার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত এবং আর্টিস্ট ফোরামের সম্পাদক শান্তিলাল মুখোপাধ্যায়। চিঠি পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরই সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা।
এদিকে এধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ইমপার সভাপতি পিয়া সেনগুপ্ত। পিয়া আনন্দবাজারকে জানান, একজন মহিলা হিসাবে তিনিও চান অন্যায়ের প্রতিবাদ হোক, অপরাধী শাস্তি পাক। তাই এধরনের কোনও কমিটি গড়ার প্রস্তাব যদি আসে, তিনি অবশ্যই বাকি সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনা করবেন। পিয়া জানিয়েছে, কিছি ঘটনা তাঁরও কানে এসেছে, তবে সরাসরি তাঁকে কেউ অভিযোগ জানাননি। তবে তিনি সত্যিই চান কাজের জায়গা যেন মহিলাদের জন্য সুরক্ষিত হয়। এমনকি রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, সেক্ষেত্রেও তিনি যথাযত ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।