বাংলা সিনেমার হল পাওয়া নিয়ে এর আগে অনেকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে পরিচালক-প্রযোজকদের। হিন্দি সিনেমার ক্ষেত্রে মাল্টিপ্লেক্সগুলিতে যত শো ধার্য থাকে, তার থেকে কম থাকে বাংলা সিনেমার ক্ষেত্রে। হল মালিকরা আবার দাবি করে থাকেন দর্শকরা বাংলা সিনেমা দেখতে আগ্রহী নন। তবে, এবার সবটা ভুল প্রমাণ হল। তাও আবার এই করোনার বাজারে।
করোনা পরবর্তী নিউ নরমালেই মুক্তি পেয়েছে দেব আর পরাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জুটিতে ‘টনিক’! আর যা খেয়ে পাগল হয়েছে দর্শক। এতটাই ভালো লেগেছে বাঙালির যে একাধিক মাল্টিপ্লেক্স হলে শো বাড়িয়ে দিয়েছেন। আর ছবি কত ব্যবসা করছে তার সব হাল-হাকিকত দেব শেয়ার করে নিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরাগীদের সাথে।
দেব টুইটারে লিখেছেন, ‘হাউজফুলের ট্রেন্ডটা বজায় থাকল বছরের শেষ দিনে এসেও। নাকি আমার এটাকে বলা উচিৎ দ্বিতীয় সপ্তাহের শুরু। চানা আট দিন বেশিরভাগ সিনেমা হলে (মাল্টিপ্লেক্স থেকে সিঙ্গেল স্ক্রিন) সগৌরবে চলছে টনিক।’
ছবি মুক্তির আগে থেকেই ‘নো প্যানিক অনলি টনিক’ মন্ত্রে বিশ্বাসী ছিলেন দেব নিজেও। প্রসঙ্গত, টনিক কিন্তু পাল্লা দিচ্ছে ‘৮৩’ সিনেমার সাথে। যেই ছবিতে আছেন রণবীর সিং আর দীপিকা পাড়ুকোনের মতো জাতীয় চেহারা। প্রায় দু' থেকে আড়াই বছর ধরে প্রচার চলেছে যে ছবির। যে ছবি নিয়ে মাতামাতি ফার্স্ট লুক প্রকাশ পাওয়ার পর থেকেই! ‘৮৩’-র থেকে শো কম, টিকিটের দামও কম। কিন্তু তাতেও বোল্ড আউট করে দিচ্ছেন দেব-পরাণ। অসমবয়সী জুটিকে ভরে ভরে ভালোবাসা দিচ্ছেন দর্শকও।