কদিন আগেই সৃজিত ঘোষণা করেছেন আর ফেলুদা ওয়েব সিরিজ বানাবেন না তিনি! যা শুনে বেশ অবাক হন দর্শকরা। কারণ টলিউডের এই খ্যাতনামা পরিচালকের হাত ধরেই ফেলুদা ধরা দিয়েছিলেন মুঠোফোনে। এমনকী, তাঁর বানানো প্রায় সবকটা ফেলুদা সিরিজই বিশেষ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তাই এহেন ঘোষণায় চোখ তো কপালে উঠবেই। তবে শুধু দর্শক নয়, সৃজিতের ‘ফেলুদা’ অর্থাৎ টোটা রায়চৌধুরীরও একই হাল হয়েছিল সেকথা শুনে। এমনকী, স্টেজেই চোখ ছলছল করে ওঠে তাঁর।
সৃজিত নিজের ফেলুদা ওয়েব সিরিজ না করার যে কারণ, সেটাও স্পষ্ট করেছেন। জানিয়েছেন যে, ফেলুদা বানাতে অনেকটা বেশি বাজটের প্রয়োজন পড়ে। আগামী দিনে হযতো আরও ‘বড় ক্যানভাস’-এর দরকার পড়বে। আর সাধারণত ওয়েব সিরিজের কাজ অত খরচ করে হয় না। প্রযোজকের উপর কোনো বাড়তি চাপ দিতে চান না, তাই তাঁর এই সিদ্ধান্ত।
এদিকে টোটা জানালেন, তিনিও জানতেন না সৃজিত ট্রেলার লঞ্চের সময়ই এমন কোনো ঘোষণা করবে। কাশ্মীরে ফেলুদার শ্যুটের সময় একবার একবার বলেছিলেন সৃজিত ঠিকই, যে এটাই তাঁর শেষ ফেলুদা। তাই তিনিও বেশ চমকে গিয়েছিলন। এমনকী, তাঁর চোখেও জল চলে এসেছিল। এখনও একটা ঘোরের মধ্যে রয়েছেন।
আনন্দবাজারকে টোটা জানালেন, ‘যে ভাবে সৃজিতের পরিচালনায় আমার কাজ দর্শকেরা পছন্দ করেছিল তাতে আশা করেছিলাম, আরও কয়েকটি সিরিজে 'ফেলুদা' হব। সেই ইচ্ছেয় দাঁড়ি পড়বে, ভাবতে পারেননি।’
টোট আরও জানান, তিনি সৃজিতকে এই নিয়ে অনুরোধও করেছিলেন। কিন্তু পরিচালকের যুক্তি স্পষ্ট। ‘ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর’ বাজেটের বাইরে গিয়ে করা কাজ। আর বাংলা সিরিজে এত বেশি টাক খরচ করা হয় না। এদিকে, হইচই অন্য সিরিজে যা দেয়, তার থেকে আড়াই গুণ বেশি বাজেট দিয়েছে। কিন্তু ফেলুদা বানাতে সেটাও কম পড়ছে।
আপাতত ফেলুদা-র বড় পর্দার সত্ত্ব রয়েছে একমাত্র সন্দীপ রায়ের কাছে। আর তাই সৃজিত মুখোপাধ্যায় যদি আর ফেলুদা না বানান, তাহলে হয়তো টোটারও আর ফেলুদা হওয়া হবে না। টোটা ও সৃজিতের প্রথম যুগলবন্দী ছিল ফেলুদা ফেরত যা মুক্তি পায় ২০২০ সালে। যা মুক্তি পেয়েছিল আড্ডা টাইমসে। এরপর হইচইয়র জন্য বানান নিজের দ্বিতীয় সিরিজটি। ২০২২ সালে আসে ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি। আর এবার ২০২৪ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে প্রিমিয়ার হবে ভূস্বর্গ ভয়ঙ্কর।