বাংলা টেলিভিশনের অন্যতম জনপ্রিয় তারকা তৃণা সাহা। শীঘ্রই অরিন্দম শীলের ‘ইস্কাবনের বিবি’র কাজ শুরু করবেন, হাতে আছে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ও। এর মাঝেই আরও একটা সাফল্যের পালক যুক্ত হয়েছে তৃণার মুকুটে। নায়িকার প্রথম মিউজিক ভিডিয়ো ‘ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়’ দুর্দান্ত সফল। দোলে মুক্তি পাওয়া এই গান অচিরেই পার করেছে ১০ লক্ষ ভিউ সংখ্যা। সব মিলিয়ে সময়টা দারুণ যাচ্ছে তৃণার। এই নিয়ে কী বলছেন অভিনেত্রী?
আপনার ডেবিউ মিউজিক ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই ১ মিলিয়ন ভিউ পার করেছে, কেমন লাগছে?
তৃণাঃ দারুণ। গানটা তো নতুন কিছু নয়, ছোট-বড় সবার খুব প্রিয় এই গানটা। ঈশান-শোভন দুজনে মিলে দুর্দান্ত গানটা বানিয়েছে। গানের ভিডিয়োটাও দারুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। খুব ভালো রেসপন্স পেয়েছি, কোনও নেগেটিভ ফিডব্যাক পায়নি। আমি সবসময় চেয়ে এসেছি মিউজিক ভিডিয়োর অংশ হতে, এইরকম একটা গানের মাধ্যমে নতুন সফরটা শুরু করতে পেরে ভালো লাগছে।
গুনগুনের ইমেজ ভেঙে তৃণা হয়ে ভক্তদের সামনে এসে কেমন লাগছে?
তৃণাঃ গুনগুন হোক বা আমি টেলিভিশনে আগে যে সব চরিত্র করেছি, সেই চরিত্রে দেখতে চেয়েছে সেটা ঠিক। কিন্তু দর্শক আমাকে এতো ভালোবাসে বলেই তো তৃণা হিসাবেও সামনে আসবার সুযোগ পাই। দর্শকদের ভালোবাসা আছে বলেই তো আমরা শিল্পীরা কাজ পাই, নতুনভাবে দর্শকদের সামনে আসার সুযোগ পাই।
হাতে টলিপাড়ার প্রথমসারির পরিচালকদের একের পর এক ছবি, খড়কুটোর গুনগুণকে হিসাবে দর্শক তৃণাকে দেখতে পাবে তো?
তৃণাঃ আমি কিছু ছাড়ছি না, আমি সব জায়গায় থাকতে চাইব, সবটা অ্যাডজাস্ট করব। খড়কুটো কতদিন চলবে তা আমি জানি না, খড়কুটোর চলাটা নির্ভর করছে চ্যানেল আর নির্মাতাদের হাতে- তবে আমি সব জায়গাতে আছি। এইটুকুই বলব ফ্যানেরা যতদিন চাইবে আমাকে খড়কুটোতে দেখতে পাবে আর প্রযোজক-পরিচালকরা সুযোগ দিলে আমি সিনেমাও করব, ওয়েবেও থাকব, মিউজিক ভিডিয়োতেও থাকব। আমি শুধু ভালো কাজ করতে চাই, ৩০ দিন কাজ করতে চাই।
টেলিভিশন তারকারা সিনেমার জগতে সফল হয় না- এটা ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত মিথ। অনেকে ভেঙেছে, কেউ আবার সফল হয়নি। ভয় লাগে?
তৃণাঃ আমি খুব নার্ভাস। সিনেমা একদম অন্যরকমের একটা মাধ্যম। আমি ফিল্মে যদি ভালো কাজ করি, আশা করি মানুষ ভালোবাসবে। তবে দর্শক কাছে গ্রহণ করবে, কাকে ভালোবাসবে সেটা তাঁদের ব্যাপার। আমি যে কাজই করি না কেন, সেটার নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করি।
টেলিভিশনের সাপ্তাহিক রিপোর্ট কার্ড, টিআরপি নিয়ে তৃণা কতটা টেনশনে থাকে?
তৃণা: সত্যি বলব (একটু থেমে)… আমি যখন কাজ শুরু করেছিলাম তখন টিআরপি নিয়ে খুব চাপ নিতাম। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে আমি বুঝেছি টিআরপিটা আমাদের হাতে নেই, আমাদের হাতে রয়েছে নিজেদের চরিত্রটা ভালোভাবে ফুটিয়ে তোলা। আমি সেটাতেই মন দিই। আজ খড়কুটোর টিআরপি যাই হোক না কেন গুনগুনকে দর্শক ভালোবাসে- আর সেটাই আমার পাওনা। টিআরপি আমার জন্য ম্যাটার করে না। সময়ের সঙ্গে এটা আমি শিখেছি।