'দিদি কখনওই কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবেন না', বলছেন তৃণা সাহা। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর প্রবল আস্থাশীল টলিউডের প্রথম সারির অভিনেত্রী।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়-অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের 'ঘনিষ্ঠতা' নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। তৃণমূলের মহাসচিবের 'ঘনিষ্ঠ' অর্পিতার বিলাসবহুল ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় ২১ কোটিরও বেশি টাকা, লাখ লাখ টাকার গয়না এবং আরও অনেক কিছু। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের গ্রেফতার দু'জনেই। তৃণা যদিও বলছেন, 'একটা মানুষের জন্য পুরো দল কখনওই খারাপ হয়ে যায় না। দু'এক জন খারাপ ছাত্রের জন্য পুরো স্কুলকেই খারাপ বলা যায়? আমার বিশ্বাস, দিদি কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেননি। ভবিষ্যতেও দেবেন না।'
রাজনীতি আর টলিউড কি সত্যিই একে অপরের পরিপূরক? নাকি সহযোগিতার ছলে সবটাই ব্যক্তিগত বা দলীয় স্বার্থপূরণের রূপান্তর?
তৃণার কথায়, 'আমি তেমনটা মোটেই মনে করি না। একজন মানুষ কোন পথে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, সেটা সে নিজেই ঠিক করে। কেউ তাকে দিয়ে কিছু বলিয়ে বা করিয়ে নিতে পারে না। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের আঙুল তোলা হয়তো সহজ। কারণ তাঁদের মানুষ চেনেন।'
টলিউডে দীর্ঘ দিন কাজ করেছেন 'পার্থ-ঘনিষ্ঠ' অর্পিতা। অভিনয় করেছেন ধারাবাহিকেও। তৃণা কি তাঁকে চিনতেন? পর্দার গুনগুন বললেন, 'না, আমি ওঁর চিনি না। হয়তো খুবই ভালো অভিনয় করেন। কিন্তু ওঁর কোনও কাজ আমার দেখা নেই। মাত্র কয়েক বছর ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। সকলের সঙ্গে কাজ ওঠা সম্ভব হয়নি।'
দুর্নীতির অভিযোগ যখন চারদিক সরগরম, তখনই পার্থ-অর্পিতার 'ঘনিষ্ঠতা' নিয়েও চলছে রগরগে আলোচনা। অভিনেত্রীর দিকে ধেয়ে এসেছে নানা বিশেষণ, কুমন্তব্য। তৃণা যদিও মনে করেন, অর্পিতা যদি অন্যায় করে থাকেন, তবে তা নিয়ে আলোচনা হওয়াই যুক্তিযুক্ত। তার বাইরে কোনও বিষয় নিয়ে কাটাছেঁড়া সম্পূর্ণ অহেতুক। তাঁর কথায়, 'একজন মহিলার চরিত্র তুলে কথা বলাটা আমার কাছে নিষ্প্রয়োজন মনে হয়। উনি যা করেছেন, তা নিয়ে কথা হতেই পারে। ইদানিং কিছু মানুষ সব বিষয়েই নেতিবাচক কথা বলে।'