বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Trina Saha On Khorkuto: গুনগুন মরে যেতেই শেষ হবে খড়কুটো? দেখুন এই নিয়ে কী বলছেন তৃণা সাহা

দিনকয়েক ধরেই শোনা যাচ্ছে শেষ হয়ে যাবে ‘খড়কুটো’। শুধু তাই নয় মরে যাবে ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র গুনগুন। আর তারপর থেকে চর্চা চলছে জোরদার। সবার মনে একটাই প্রশ্ন, এভাবে শেষ হবে সবটা! হ্যাপি এন্ডিং কি দেখতে পাবে না দর্শক?

২০২০ সালের অগস্টে শুরু হয়েছিল ‘খড়কুটো’। একদম প্রথম থেকে এই ধারাবাহিক নিয়ে মাতামাতি ছিল দেখার মতো। গুনগুন আর সৌজন্যকে ভালোবেসে ‘সৌগুন’ নামও দেয় দর্শকরা। তাঁদের ঝগড়া, প্রেম, গোটা পরিবারের একসঙ্গে নানা আনন্দ উৎসবে সামিল হওয়া মন কাড়ত। টিআরপি তালিকাতেও বেশ উপরেই থাকত সৌজন্য আর গুনগুন। তবে হঠাৎ করে যেন বদলে যায় পরিস্থিতি। দর্শক সংখ্যা কমতে থাকে। অবস্থা এমন দাঁড়ায় যে ধারাবাহিককে পাঠিয়ে দেওয়া দুপুরের স্লটে। আর এবার খবর খুব জলদি শেষ হবে ‘খড়কুটো’। আরও পড়ুন: ‘অর্ধনগ্ন’ মালাইকা-উরফি ‘অশ্লীলতা’ ছড়াচ্ছে দেশে! দু'জনের নামে হতে পারে FIR

তবে এই গুঞ্জনে জল ঢেলে দিলেন গুনগুন ওরফে তৃণা সাহা নিজেই। এক বাংলা সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানালেন, ‘সে কতদিন ধরেই তো শুনছি খড়কুটো শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু এখনও তো চলছে। অল্প হলেও এখনও কিছু দর্শক আছেন যারা আমাদের ভালোবাসে। ধারাবাহিক দেখে। এই তো গতকালও কতক্ষণ শ্যুট করে এলাম। তাই অন্তত আমার কাছে খড়কুটো শেষ হয়ে যাওয়ার কোনও খবর নেই।’

আপাতত ধারাবাহিকে চলছে সাজি আর অর্জুনের বিয়ে প্রস্তুতি। এদিকে আবার গুনগুনের বেঁচে থাকার যে ৫০-৫০ সম্ভাবনা আছে, তা ডাক্তার জানিয়ে দিয়েছে। সৌজন্য ওরফের বাবিনের গোটা পরিবার সে শোক সামলে গুনগুনের জন্য বিয়ে নিয়ে মাতামাতি করতে চাইছে, যাতে মেয়েটার মন খুশি থাকে। এদিকে আবার গুনগুন নিজের কানে ডাক্তারকে বলতে শুনেছে অপারেশনের পর তার বাঁচার সম্ভাবনা কম। তবে সেটা সে পরিবারকে আর বুঝতে দেয়নি। আরও পড়ুন: ‘প্রেগন্যান্সি সবসময় অতটাও মিষ্টি না’, মা হতে চলা সোনম সোশ্যালে কেন লিখলেন এমন?

সোশ্যাল মিডিয়ায় দর্শকদের আকুতি এভাবে যেন নির্মাতারা শেষ না করে ধারাবাহিক। তাঁরা চান না গুনগুন মরে যাক। বরং সকলেই চান একটা হ্যাপি এনডিং। প্রসঙ্গত, এই গল্পের লেখিকা বাংলা ধারাবাহিকের জনপ্রিয় মুখ লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। 

এদিকে তৃণা খুব ব্যস্ত। হাতে একাধিক কাজ তাঁর। খুব জলদি তৃণাকে দেখা যাবে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ‘লহ গৌরঙ্গের নাম রে’ ছবিতে। যার পরিচালনা করছেন সৃজিত। সিনেমায় শ্রীচৈতন্যের ভূমিকায় পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। আর তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মীপ্রিয়া হচ্ছেন তৃণা। চৈতন্য অন্তর্ধান রহস্য-ই এই ছবির প্রেক্ষাপট। শুধু তাই নয় অরিন্দম শীলের ইস্কাবনের বিবি-তেও রয়েছেন তিনি মুখ্য চরিত্রে। চলতি বছরটা সত্যি ধামাকেদার হতে চলেছে তৃণার কাছে!

 

বন্ধ করুন