বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > আরিয়ানের পর সুশান্ত মামলাতেও জয় হবে মহারাষ্ট্রের, বিস্ফোরক দাবি শিবসেনা নেত্রীর

আরিয়ানের পর সুশান্ত মামলাতেও জয় হবে মহারাষ্ট্রের, বিস্ফোরক দাবি শিবসেনা নেত্রীর

সুশান্ত মামলায় এখনও চার্জশিট দাখিল করেনি সিবিআই

 কেন্দ্রীয় সংস্থা গুলোকে ‘লেলিয়ে দিয়ে’ মহারাষ্ট্রের সম্মানহানির চেষ্টা করেছে বিজেপি, বিস্ফোরক দাবি শিবসেনা নেত্রী প্রিয়াংকা চতুর্বেদির। 

গত কয়েক মাসে বলিউডে সরগরম থেকেছে যে দুটি মামলা ঘিরে তা হল- সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যু এবং অনন্যটি আরিয়ান খান মাদক মামলা। দুটি মামলাতেই কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। সুশান্ত মামলার সিবিআই তদন্ত নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছিল উদ্ধব ঠাকরে সরকার। যদিও শেষ পর্যন্ত সুপ্রিম রায় মেনে এই মামলার তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। যদিও এরপর কেটে গিয়েছে প্রায় ২১ মাস। সুশান্ত সিং রাজপুতের রহস্যমৃত্যুর মামলা নিয়ে কোনওরকম টিপন্নি করতে না-রাজ সিবিআই। অন্য়দিকে গত বছর অক্টোবরে মাথাচাড়া দেওয়া কোর্ডেলিয়া ক্রুজ মাদক মামলায় এদিন বড় স্বস্তি পেল মহারাষ্ট্র সরকার।

নারকোটিক্স কনট্রোল ব্যুরো শুক্রবার মাদক মামলা থেকে বেকসুর হিসেবে ঘোষণা করল আরিয়ান খানকে। এনসিবির চার্জশিটে নাম নেই আরিয়ানের, এরপরই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছে শিবসেনা। এদিন টুইট বার্তায় শিবসেনা নেত্রী তথা সাংসদ প্রিয়াংকা চতুর্বেদী চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শাণালেন বিজেপিকে। টেনে আনলেন সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার প্রসঙ্গও।

টুইটারের দেওয়ালে প্রিয়াংকা লেখেন, ‘একটা কষিয়ে চড় ভুয়ো পিআর দ্বারা তৈরি সিংহমের গালে, সেই সকল নিউজ মিডিয়া চ্যানেলগুলোর গালে যারা বিজেপির হয়েই কাজ করে, সেই বিজেপি সমর্থক অভিনেত্রীর গালে যে ওদের মুখপাত্রও বটে- আদতে সেই সকল মানুষের গালে যারা মহারাষ্ট্রের সম্মানহানি করতে চেয়েছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা দ্বারা। সত্যের জয় হবেই। এবার অপেক্ষায় রয়েছি সিবিআই কর্তৃক সুশান্ত সিং রাজপুত মামলার চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার’।

গত বছর ২ অক্টোবরের রাতে মুম্বই থেকে গোয়া-গামী এক প্রমোদতরী থেকে এনসিবির রেইড চলাকালীন আটক হন শাহরুখ খানের বড়ছেলে। সেই নিয়ে হইচই পড়ে যায় বি-টাউনে। ওই রেইডের নেতৃত্বে ছিলেন এনসিবির তৎকালীন মুম্বই ব্যুরোর প্রধান সমীর ওয়াংখেড়ে। আরিয়ানের গ্রেফতারির পর একাধিক প্রশ্ন উঠেছিল কেন্দ্রীয় মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থার এই অভিযানকে ঘিরে। তোলাবাজির অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে এই এনসিবি কর্তার বিরুদ্ধে। এরপর সমীর ওয়াংখেড়েকে এই মামলা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর এনসিবিতে নিজের কার্যকাল শেষ হওয়ার পর এখন ডিরেক্টরেট অব রেভেনিউ ইন্টেলিজেন্সে (ডিআরআই) দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক তিনি। 

৩রা অক্টোবর এনসিবি গ্রেফতার করেছিল আরিয়ানকে। নিম্ন আদালত বারবার তাঁর জামিন খারিজ করে দেয়। কিন্তু পরে বম্বে হাইকোর্ট জামিন দেয় আরিয়ানকে। ৩১ অক্টোবর আর্থার রোড জেল থেকে বেরিয়ে মন্নতে ফিরে যান আরিয়ান। কোর্ডেলিয়া প্রমোদতরী মাদকমামলায় মোট ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছিল সমীর ওয়াংখেড়ের নেতৃত্বাধীন এনসিবির দল। প্রধান ৩ অভিযুক্ত ছিলেন আরিয়ান খান, আরবাজ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধামেচা। শুক্রবার এনসিবির চার্জশিটে আরিয়ান বন্ধু আরবাজের নাম থাকলেও উপযুক্ত তথ্য-প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেলেন আরিয়ান খান। 

 

 

বন্ধ করুন