বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Tumpa Sona Controversy: ‘গান পয়েন্টে সব নিজের করে নিয়েছে’, হাতে আসেনি টুম্পার একটা টাকা, উঠল নতুন বিতর্ক

Tumpa Sona Controversy: ‘গান পয়েন্টে সব নিজের করে নিয়েছে’, হাতে আসেনি টুম্পার একটা টাকা, উঠল নতুন বিতর্ক

টুম্পা সোনা নিয়ে বিতর্ক। 

আলোর পিছনে অন্ধকার কথাতেই আছে! এবার সেরকমই ছবি টুম্পা সোনা গান নিয়ে। অভিষেক সাহার দাবি তিনিই ছিলেন এই গানের আসল প্রযোজক। কিন্তু বন্দুকের ভয় দেখিয়ে সব রাইটস কেড়ে নেওয়া হয়। এক টাকাও পাননি। 

একসময় আট থেকে আশির মুখে ফিরত ‘টুম্পা সোনা’। বছর দুই পেরিয়ে গেলেও গান নিয়ে ক্রেজ একই আছে। রিলস থেকে ডিজে পার্টি, পুজোর প্যান্ডেল থেকে শুরু করে বিয়েবাড়ি, এমন একটা জায়গা নেই যেখানে টুম্পা সোনা বাজেনি। ২ বছর পেরিয়ে টুম্পার হিট ১৮৮ মিলিয়ন পার। আর এতদিন পর ‘টুম্পা সোনা’র নামে উঠে এল নতুন বিতর্ক। 

অভিষেক সাহা নামে এক ব্যক্তির ফেসবুক থেকে এসেছে একটি বিস্ফোরক পোস্ট। এই অভিষেক ‘টুম্পা’ গানটির কম্পোজার, অ্যারেঞ্জার এবং প্রোগ্রামার। তিনি ফেসবুকে লেখেন, ‘টুম্পার ভিউ এখন ১৮৮ মিলিয়ন, যার থেকে আসা একটা টাকাও আমি পাইনি। আমি ভিডিয়ো করার খরচা জোগাড় করেছি, গানটাও আমারই তৈরি করা। আমিই এটার প্রোডিউসার ছিলাম তারপরেও এই অবস্থা আমার। আমাকে জাস্ট ভয় দেখিয়ে সবকিছু নিয়ে নিয়েছে নাহলে হয়তো এটাই শেষ গান হয়ে থেকে যেত আমার। টাকার থেকে জীবনের দাম বেশি, তাই ছেড়ে দিতে বাধ্য হলাম। অনেক লোকেই জানে ব্যাপারটা কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেনি। সবাই আনন্দ করেছে, নেচেছে, ভিডিয়ো বানিয়েছে, সব করেছে কিন্তু আমার নিজের ইনকাম করা টাকা আমি পাইনি।’

এক বাংলা সংবাদমাধ্যমে এর সব দোষ অরিজিত সরকারকে দিয়েছেন অভিষেক। দাবি করেন, ‘গানটার প্রযোজক আমি ছিলাম। অরিজিৎ নয়। আমি সবাইকে পেমেন্ট করেছি। ভিডিয়ো বানানোর টাকা জোগার করেছি। তারপর যখন দেখি প্রযোজকের জায়গা ওর নাম, আমি তো অবাক হয়ে গিয়েছিলাম। মিউজিক লেবেল কোম্পানিতে ফোন করে জানতে চাইলে তারা বলে ফওন করে সব মিটমাট করে নিতে। আমি অরিজিতকে ফোন করি। ও ওর বাড়িতে ডাকে।’

এরপর আরও বলেন, ‘ওর বাড়িতে যাওয়ার আগেই দুটো লোক আমাকে ধরে। গান পয়েন্টে সব সই করিয়ে নেয়। আমি বুঝে যাই অরিজিৎ আমার নামে নয়, আমাকে অরিজিতের নামে সব ট্রান্সফার করে দিতে হবে। কোনও টাকাই আমি পাইনি।’

পুলিশে কেন যান নি প্রশ্ন করা হলে অভিষেক জানান, ‘আমি ভয় পেয়েছিলাম। খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। এখন অবশ্য আর কাউকে ভয় পাই না। তাই তো ফেসবুকে লিখলাম।’

 

বন্ধ করুন