তুনিশা শর্মার কেসে নতুন প্রমাণ এসেছে ওয়ালিব পুলিশের হাতে। শনিবার আলিবাবা-দাস্তান-এ-কবুলের সেটেই আত্মহত্যা করেন তুনিশা। আর তাতে নাম জড়িয়েছে অভিনেত্রীর প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খানের। তুনিশাশিজাের ছাড়াছাড়ি হয় দিন পনেরো আগেই। একইসঙ্গে কাজ করতেন দুজনে আলিবাবা সিরিয়ালের সেটে। এমনকী, সিজানের মেকআপ রুমেই নিজেকে শেষ করে দেন তুনিশা। যদিও সেই সময় শিজান উপস্থিত ছিলেন না সেটে। তবে পুলিশি তদন্তে উঠে এল, মারা যাওয়ার আগের মুহূর্তেই কথা হয়েছে শিজান আর তুনিশার।
প্রয়াত অভিনেত্রীর মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে শিজানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভাসি আদালতের পক্ষ থেকে প্রথমে ৪ দিন ও পরে ২ দিন পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। ওয়ালিব পুলিশের দাবি তদন্তে সহযোগিতাা করছেন না শিজান খান। গলায় দড়ি দেওয়ার আগের মুহূর্তেও শিজানের সঙ্গে কতা বলেছেন তুনিশা। সেই মর্মে প্রমাণ এসেছে পুলিশের হাতে। ২৫০-৩০০ পাতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটও এসেছে পুলিশের হাতে। সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপের সঙ্গে ই-মেইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হবে শিজান আর তার ‘গোপন বান্ধবী’র মধ্যে হওয়া চ্যাট পুনরুদ্ধারের।
মঙ্গলবার মীরা রোডের শ্মশানে সম্পন্ন হয়েছে তুনিশার শেষকৃত্য। ছিলেন তাঁর মা, পরিবার ও কাছের বন্ধুরা। মেয়েকে আগুনে পুড়তে দেখে কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন মা। শেষমেশ চেয়ারে করে তাঁকে গাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া হয়।
এদিকে তুনিশার কেসে এসেছে লাভ জিহাদের অ্যাঙ্গেল। কাকা পবন শর্মা দাবি করেছেন তাঁদের মেয়ে জিশানের সঙ্গে মেশার পর থেকেই কেমন যেন বদলে গিয়েছিল। সঙ্গে তাঁর দাবি হিজাব পরতেও শুরু করে দিয়েছিল তুনিশা।
জিশানের সঙ্গে একাধিক মহিলার সম্পর্ক থাকার প্রমাণও হাতে এসেছে পুলিশের। ওয়ালিব পুলিশের তরফে বুধবার আদালতে জানানো হয়েছে, শিজানের এক ‘গোপন প্রেমিকা’র খোঁজ পেয়েছেন তাঁরা। যার সঙ্গে হওয়া সমস্ত চ্যাট মুছে ফেলেছেন শিজান। আর এটাই পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। কেন সব মেয়ের সঙ্গে চ্যাট রেখে এটাই মুছে ফেলা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
শিজান খান আবার পুলিশের কাছে দাবি করেছেন শ্রদ্ধা হত্যা মামলা তাঁকে ভেতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। দুজনের মধ্যে ধর্ম আর বয়সের ফারাকের কথা মাথায় রেখেই আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। যদিও তুনিশার বান্ধবীর দাবি চরিত্র খারাপ শিজানের। যৌন লালাসা মেটানোর জন্য এর আগেও বহু মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছে সে। এবারেও তুনিশার ক্ষেত্রে সেটাই করেছিল।