হিন্দি টিভি অভিনেত্রী তুনিশা শর্মার কেসে আসছে একের পর এক রোমাঞ্চকর মোড়। শনিবারা আলিবাবা-দাস্তান-এ-কবুল-এর সেটে আত্মহত্যা করেন এই অভিনেত্রী। আপাতত আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে তুনিশার প্রেমিক শিজান খানকে পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে। কথা বলা হয়েছে প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবার, বন্ধু-বান্ধব ও সহকর্মীদের সঙ্গে।
সাম্প্রতিকতম খবর হল আলিবাবা-র সেট থেকে জিশানকে লেখা তুনিশার একটা চিঠি উদ্ধার করেছে পুলিশ। পুলিশের দাবি সেই হাতে লেখা নোটের একপাশে লেখা আছে শিজান, অন্য পাশে মারা যাওয়ার আগে বার্তা লিখে যায় তুনিশা। লেখা, ‘ওর সৌভাগ্য আমাকে সহ-অভিনেতা হিসেবে পাওয়া।’ ইন্ডিয়া টিভির এক প্রতিবেদন অনুসারে একটা ১০ ইঞ্চির লম্বা কাপড়ও পেয়েছে পুলিশ যা কেটে ব্যবহার করেছিলেন প্রয়াত অভিনেত্রী নিজেকে ঝোলানোর জন্য প্রাক্তন প্রেমিক শিজান খানের মেকআপ রুমে।
পুলিশের মতে, শিজানের ছিল ‘গোপন প্রেমিকা’। আর সেই রহস্যময়ী মহিলার সঙ্গে তুনিশার মৃত্যুর দিন ২ ঘণ্টা ফোনে কথা বলেছিল শিজান। তাদের মধ্যে হওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট মুছে দিয়েছে শিজান। যা পুনরুদ্ধারের জন্য ই-মেল করা হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ দফতরে। কেন সব চ্যাট রেখে এটাই মুছে দিল শিজান, সেটাই খতিয়ে দেখতে চায় তদন্তকারীরা। ওয়ালিব পুলিশের তরফ থেকে শিজানের উপর অভিযোগ তোলা হয়েছে তদন্তে অসহযোগিতার।
অন্য দিকে, তুনিশার ফোন এতদিন আনলক করতে না পারার কারণে দেখতে পারেনি পুলিশ। বৃহস্পতিবার অ্যাপেল কোম্পানির লোকেরা ওয়ালিব থানায় এসে ফোনের লক খুলে দেয়। উদ্ধার করা গিয়েছে ফোনে তুনিশার সঙ্গে শিজানের মা ও বোনের হওয়া চ্যাট ও ফোন কল। প্রসঙ্গত, তুনিশার শেষকৃত্যেও হাজির হয়েছিলেন শিজানের মা ও বোন। আরও পড়ুন: তুনিশার মৃত্যুকে ‘খুন’ বললেন কঙ্গনা রানাওয়াত! মোদীর কাছে আর্জি, ‘বহুবিবাহে কড়া ব্যবস্থার’
তুনিশার পরিবারের তরফে প্রথম থেকেই শিজানের দিকে তোলা হয়েছে অভিযোগের আঙুল। তুনিশার মা পুলিশের কাছে শিজানের নামে এফআইআর করেছিল। যাতে দাবি করেছিলেন বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁর মেয়ের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন শিজান। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখত শিজান। তুনিশার কাকার দাবি, শিজানের সঙ্গে প্রেম করার পর থেকে বদলে যেতে থাকে তাঁদের মেয়ে। এমনকী হিজাব পরাও শুরু করে দিয়েছিল। কেসে লাভ জিহাদের অ্যাঙ্গেলও উঠে এসেছে।
তুনিশার মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতও। তিনি লিখেছেন, বাইরে থেকে এটা ‘আত্মহত্যা’ মনে হলেও, এটা আসলে ‘খুন’। কারণ মানসিকভাবে তুনিশাকে ভেঙে দিয়েছিলেন শিজান। আর এটার কারণে শাস্তি হওয়াই উচিত।