সকাল থেকেই রঙের উৎসবে মেতে উঠেছে টলিগঞ্জের স্টুডিওপাড়া। আজ শ্যুটিং-এর ঝাঁপ বন্ধ। খুশির আমেজের মাঝেই সন্ধ্যা হঠাৎ করেই এল দুঃসংবাদ। আচমকাই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন টেলি অভিনেতা অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। টলিগঞ্জে অবশ্য তোতা নামেই তাঁকে সকলে চেনে। এদিন অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মৃত্যুর খবর জানান আর্টিস্ট ফোরামের কোষাধ্যক্ষ তথা অভিনেতা সোহন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘আমাদের বন্ধু/ভাই অরিজিৎ ব্যানার্জী (তোতা) আজ সন্ধ্যা ৬.১৯-এ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে বি পি পোদ্দার হাসপাতালে মারা গেছে’।
এদিন আর্টিস্ট ফোরামের তরফেও শোকপ্রকাশ করা হয় অভিনেতার মৃত্যু খবর জানিয়ে।
অভিনয় ছিল প্রয়াত অভিনেতার একমাত্র নেশা! আজীবন বামপন্থী চিন্তাভাবনায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি। ছোট পর্দায় অভিনয়ের পাশাপাশি রঙ্গমঞ্চেরও পরিচিত মুখ তোতা। শুধু অভিনয়ই নয়, একাধিক নাটক পরিচালনা করেছেন তিনি। ছোটপর্দায় তাঁর অন্যতম উল্লেখযোগ্য কাজ ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’। এছাড়াও ‘শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু’র মতো পিরিয়ড ড্রামাতেও দেখা গিয়েছে তাঁকে। খুব সম্ভবত তাঁকে শেষবার তাঁকে ছোট পর্দায় দেখা গিয়েছে কালার্স বাংলার ‘ত্রিশূল’ ধারাবাহিকে।
সোমবার অসুস্থবোধ করছিলেন অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এরপর তাঁকে তড়িঘড়ি বিপি পোদ্দার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন অভিনেতা। চিকিৎসদের চেষ্টা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় না-ফেরার দেশে চলে গেলেন অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মৃত্য়ুতে শোকস্তব্ধ টলিগঞ্জ, এই দুঃসংবাদ মেনেই নিতে পারছেন না তাঁর পরিচিতরা। অরিজিৎ বন্দ্য়োপাধ্যায় রেখে গেলেন তাঁর স্ত্রী ও একমাত্র কন্যাকে।