ভারতীয় টেলিভিশনের অন্যতম সুপার মম হিসাবে ধরা হয় অভিনেত্রী শ্বেতা তিওয়ারিকে। কসৌটি জিন্দেগি কি’র প্রেরণা হিসাবে বছর ১৯ আগে লাইমলাইটে উঠে এসেছিলেন তিনি। মাত্র একুশ বছরের প্রেরণা সেই সময় এক বছরের কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন। এখন শ্বেতার মেয়ে পলকের বয়স কুড়ি। মায়ের মতোই সুন্দরী হয়েছে সে। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে মেয়ের বেশ কিছু গোপন রহস্য ফাঁস করেছেন শ্বেতা।অভিনেত্রীর কথায় পলকের ১৬ বছরের জন্মদিনে সে এমন কান্ড ঘটিয়েছিল যা তিনি কোনওদিনও ভুলতে পারবেন না। ষোড়শী পলক এক লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মেক-আপ কিনেছিল!
সেই সময় দ্বিতীয়বার প্রেগন্যান্ট ছিলেন শ্বেতা। এই ঘটনার আগে পর্যন্ত তিনি চাইছিলেন দ্বিতীয়বারও কন্যা সন্তানের জননী হতে, তবে মেয়ের এই কান্ডতে হতবাক শ্বেতা এরপর নিজের প্রার্থনা বদলে ফেলেন।তাঁর কথায়, আমি আমার পরিবার,বন্ধুদের ফোন করি, বলেছিলাম অনেক হয়েছে বাবা, আর মেয়ের দরকার নেই। এবার ভগবান আমায় একটা ছেলে দাও। এত খরচ আমি বইতে পারব না’। শ্বেতা বলেন প্রায় সাত-আট হাজার টাকা করে এক একটি আই-শ্যাডো কিনেছিল পলক। যা দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গিয়েছিল তাঁর।
মনের ইচ্ছা মতোই দ্বিতীয়বার পুত্র সন্তানের জন্ম দেন শ্বেতা। তাঁর ছেলের নাম রায়াংশ।
যদিও এই ব্যাপারে সব দোষ নিজের ঘাড়ে নিতে রাজি নন পলক।তাঁর কথায় শ্বেতার নাকি মুড সুইংস হয়। কখনও আমাকে বলবে তোমার কী চাই বল? একটা জিনিস বললে পাঁচটা কিনে দেবে। আবার কখনও কিছু চাইলে বলবে-তোমার কী মনে হয় আমার টাকার গাছ আছে?’, অকপটভাবে জানাল পলক।মায়ের পদচিহ্ন অনুসরণ করে অভিনয়কেই পেশা হিসাবে বেছে নিতে চায় পলক। তবে আপতত সে নিজেকে গ্রুম করতে ব্যস্ত। তাই একের পর এক অফার ফেরাচ্ছে সে।
কসৌটি জিন্দেগি ছাড়াও পরবরিশ-কুছ খট্টি কুছ মিঠি, জানে ক্যায়া বাত হুয়ির মতো জনপ্রিয় সিরিয়ালের লিডিং লেডি হিসাবে অভিনয় করেছেন শ্বেতা। রিয়ালিটি শো বিগ বস সিজন চারের বিজয়ীও শ্বেতা। সম্প্রতি মেরে ড্যাড কি দুলহনে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি,লকডাউনের জেরে আপতত বন্ধ রয়েছে কাজ। হিন্দি টেলিভিশনের অন্যতম সফল ও জনপ্রিয় এই নায়িকা তাঁর ব্যক্তিগত জীবনের জন্য হামেশাই চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেছেন। প্রথম স্বামী রাজা চৌধুরীর সঙ্গে ২০০৭ সালে বিচ্ছেদ হয় শ্বেতার। রাজা ও শ্বেতার মেয়ে পলক। রাজার উপর গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ এনেছিলেন শ্বেতা। এরপর ২০১১ সালে অভিনেতা অভিনব কোহলির সঙ্গে বিয়ে করেন শ্বেতা। তাঁদের পুত্র রায়াংশ। ২০১৭ সাল থেকেই দু’জনের সম্পর্কে চিড় ধরার খবর সামনে আসে। ২০১৯ সালে অভিনবের বিরুদ্ধেও গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনেন শ্বেতা ও পলক। তাঁদের ডিভোর্সের আবেদনও মঞ্জুর হয়ে গিয়েছে।