আদৃতের সঙ্গে বিয়ের মাস ঘুরতে না ঘুরতেই মাকে হারিয়েছিলেন কৌশাম্বি। তাই তাঁর মা আর নেই, তবু তাঁর স্মৃতি আগলে রেখেছেন বাবা। তবে অভিনেত্রীর বাবাও অসুস্থ, তাই মাঝে মধ্যেই বাবাকে দেখতে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে তাঁর কাছে ছুটে যান কৌশাম্বি। আজ আজ ১১ অগস্ট, কৌশাম্বির বাবার জন্মদিন তাই আরও একবার সব ফেলে তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে পৌঁছে গেলেন অভিনেত্রী। তারই কিছু মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেছেন কৌশাম্বি চক্রবর্তী।
নিজের ইনস্টাগ্রামের পাতায় মোট ৪টি ছবি পোস্ট করেছেন কৌশাম্বি। প্রথমটিতে বাবার বুকে মাথা রেখে তাঁকে জড়িয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে অভিনেত্রীকে। পরনে তাঁর জিন্সের পালাজো ও ঢলা শার্ট। দ্বিতীয়টিতে আদরের পোষ্যের গায়ে হাত বুলিয়ে দিতে দেখা যাচ্ছে কৌশাম্বিকে। পাশে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তাঁর বাবা। তৃতীয়টিতে বাবা-মেয়ে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। চতুর্থটিতে একটা পুরনো আলমারির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছেন কৌশাম্বির বাবা, আলমারির উপরে রাখা অভিনেত্রীর মায়ের ছবি। আর পাশে রাখা একটা স্মারক। ছবিগুলির ক্যাপশানে কৌশাম্বি লিখেছেন, ‘Happy birthday Baba’ (শুভ জন্মদিন বাবা)।
কৌশাম্বির এই পোস্টে অনেকেই অভিনেত্রীর বাবাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।প্রসঙ্গত গত মে মাসেই ঘটা করে অভিনেতা, প্রেমিক আদৃত রায়ের সঙ্গে সাতপাকে বাঁধা পড়েন কৌশাম্বি চক্রবর্তী। বিয়ের পর মধুচন্দ্রিমাতেও উড়ে গিয়েছিলেন আদৃত-কৌশাম্বি। এরপর বিয়ের ১ মাস কাটতে না কাটতেই জীবনের সবথেকে খারাপ খবরটা আসে অভিনেত্রীর কাছে। হঠাৎই মায়ের মৃত্যু সংবাদ পান অভিনেত্রী। মায়ের এই আকষ্মিক চলে যাওয়ার ভেঙে পড়েছিলেন কৌশাম্বি। তবে আপাতত তিনি নিজেকে অনেকটাই সামলে নিয়েছেন।
কৌশাম্বি জানিয়েছিলেন, তাঁর বাবা আগে থেকেই ক্যানসারের রোগী। তাই মা চলে যাওয়ার পর তাঁর মতো করে বাবাকে কে আগলে রাখবে সেই দুশ্চিন্তা এখন অভিনেত্রীর মনে। কৌশাম্বির কথায়, তাঁর মা ছিলেন দশভূজা। ঘরে-বাইরে সবটা সমালেছেন। সংসার, চাকরি, সন্তান কোনও দায়িত্ব থেকেই পিছপা হননি তিনি। তবে সদ্য অবসর নিয়েছিলেন। কীভাবে অবসর জীবন কাটাবেন, তা নিয়ে ছিল অনেক স্বপ্ন। তবে সেগুলো অধরাই রয়ে গেল।
মায়ের আকষ্মিক মৃত্যু নিয়ে কৌশাম্বি জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর কয়েকঘন্টা আগেও মেয়ের শ্বশুরবাড়ি পৌঁছেছিলেন তিনি। গল্প-হাসিঠাট্টা চলেছে লাগাতার। এরপর রাতে বাড়ি ফিরে বোনের সঙ্গেও ফোনে গল্প করেন। তারপর হঠাৎ করেই সব শেষ! চিকিৎসার কোনও সুযোগ দেননি। আর তাই মায়ের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া কঠিন হয়ে ওঠে কৌশাম্বির কাছে।