টিভি অভিনেত্রী পল্লবী দে-র মৃত্যু রহস্যে খুলল নতুন রহস্য। শোনা যাচ্ছে অভিনেত্রীর সঙ্গে জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট ছিল তাঁর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিক চক্রবর্তীর। জয়েন্ট ফিক্স ডিপজিট দু'জনের নামে ১৫ লাখ টাকার। একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পাওয়া গিয়েছে যা পল্লবীর নামে, কিন্তু নমিনি সাগ্নিক। ফলে, এবার পল্লবীর মৃত্যু মমলায় জড়িয়ে পড়ছে আর্থিক দিক।
পল্লবীর পরিবারের তরফে দাবি করা হয়েছে সম্প্রতি সাগ্নিক তাঁর আর তাঁর বাবার নামে নিউটাউনে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে একটা ফ্ল্যাট কেনে। যেখানে মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে সাহায্য করেছিলেন পল্লবী। এমনকী, দু'জনে মিলে যে গাড়িটি কিনেছিলেন তাতে মোটা টাকা দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
আজ গড়ফা থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচণার’ অভিষোগ আনতে চলেছে পরিবার। গতকাল গভীর রাতে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করার পর ছেড়ে দেওয়া হয় সাগ্নিককে। কারণ, এখনও পল্লবীর পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ রুজিু করা হয়নি। এবং পুলিশও এটাকে ‘আত্মহত্যার মামলা’ হিসেবেই দেখছে। আরও পড়ুন: গাড়ি-সহ একাধিক EMI নিয়ে পল্লবী আর্থিক সমস্যায় পড়েছিল, পুলিশকে জানাল সাগ্নিক!
সাগ্নিক বিবাহিত। তবে বছর দুয়েক ধরে আলাদা থাকেন। তিনি পল্লবীর পরিবারকে জানিয়েছেন ডিভোর্সের আবেদন করা হয়েছে। ফলে আগামী বছর বিয়ের কথাও ভেবেছিলেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এদিকে গড়ফার বাড়ির যে কেয়ারটেকার তিনি পল্লবীর পরিবারকে জানিয়েছেন দু'জনের মধ্যে সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকী, ঝগড়া থেকে তা হাতাহাতির পর্যায়েও পৌঁছত। এসব নিয়েই আজ থানায় ‘আত্মহত্যার প্ররোচণার’র অভিযোগ দায়ের করবেন প্রয়াত অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, ‘রেশম ঝাঁপি’, ‘আমি সিরাজের বেগম’, ‘মন মানে না’খ্যাত অভিনেত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় গড়ফা থেকে। সেখানে তিনি লিভ-ইন করতেন প্রেমিকের সঙ্গে। পল্লবীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে পুলিশকে খবর দেন সঙ্গী সাগ্নিক। তারপর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে।
হেল্পলাইন নম্বর: ওয়ালাইফ ফাউন্ডেশন - ৭৮৯৩০৭৮৯৩০