বিয়ে করতে অস্বীকার করেছে প্রেমিক,সেই কারণেই আত্মহত্যা করল জনপ্রিয় টেলিভিশন সঞ্চালিকা চন্দনা ভিকে। বেশকিছু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছে চন্দনা। ঘটনাটি ঘটেছে ২৮ মে,ডেকান হেরাল্ডের খবর অনুযায়ী তাঁর প্রেমিক দীনেশ পালাতক। আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে।
রিপোর্ট অনুসারে, দক্ষিণ বেঙ্গালুরুর এস.জি পালা থানার পুলিশ দীনেশ এবং তাঁর পুরো পরিবার, তাঁর বাবা লোকাপ্পা গোডা,মা গায়েত্রী এবং বোন শায়লা ও কাকা দয়ানন্দের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা রুজু করেছে। জানা গিয়েছে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে চন্দনা ভিকে। আত্মহননের পথ বেছে নেওয়ার আগে একটি ভিডিয়ো রেকর্ড করে সে। সেখানেই দীনেশের সিদ্ধান্তের কথা বলতে শোনা গিয়েছে চন্দনাকে। সূত্রের খবর ভিডিয়ো টেলিভিশন সঞ্চালিকা স্পষ্ট বলেছেন, ‘তুমি বলেছে যদি আমি মরে যাই তাহলে তোমার ভালো হবে।সেই কারণেই আমি চলে যাচ্ছি,আমার জীবন শেষ করে দিচ্ছি।তুমি এর জন্য দায়ী থাকলে দীনেশ'।
এইরপর সেই ভিডিয়ো দীনেশ এবং পরিবারের সদস্যদের পাঠায় চন্দনা। ২৮ মে দুপুর ২.৩০ নাগাদ হোয়াটস্যাপে সেই ভিডিয়ো দেখে চন্দনার প্রতিবেশীদের যোগাযোগ করেন সঞ্চালিকার বাবা-মা। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যুর সঙ্গে দু দিন লড়াই করবার পর ৩০ মে মৃত্যু হয় চন্দনার। ২৮ বছর বয়সী এই টেলিভিশন সঞ্চালিকা থাকত বেঙ্গালুরুর শহরতলি তাভারেকেরেতে।
চন্দনার পরিবার সূত্রে খবর পাঁচ বছর ধরে দীনেশের সঙ্গে প্রেম সম্পর্কে জড়িত ছিল সে। শুধু তাই নয় চন্দনার থেকে পাঁচ লক্ষ টাকাও নিয়েছিল সে। এরপর থেকেই বিয়ে তো দূর অস্ত,নিজেকে চন্দনার থেকে দূরে সরিয়ে নেয় দীনেশ। সেই ধাক্কাই নাকি মেনে নিতে পারেননি চন্দনা।
প্রসঙ্গত গত ২৬ মে সামনে এসেছিল টেলিভিশন অভিনেত্রীর প্রেক্ষা মেহতার আত্মহত্যার খবর। ইন্দোরে নিজের বাসভবনেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করলেন এই টেলিভিশন অভিনেত্রী।আত্মহত্যার আগে ইনস্টাগ্রামে একটি হৃদয়বিদারক বার্তা পোস্ট করেন প্রেক্ষা। ইনস্টা স্টোরিতে লিখে যান- 'সবচেয়ে খারাপ হল স্বপ্নগুলোকে মরতে দেখা'। ২৫ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী হিন্দি টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। ক্রাইম পেট্রোল, মেরি দুর্গা, লাল ইশকের মতো শোয়ে কাজ করেছেন তিনি। লকডাউনে কাজ বন্ধ থাকায় অবসাদে ভুগছিলেন প্রেক্ষা।