মাত্র কয়েকদিন আগের ঘটনা। সইফ আলি খানের উপর হামলার ঘটনা সকলকে অবাক করে দিয়েছিল। ঘটনার পর লীলাবতি হাসপাতালে চিকিৎসা, তারপর ইতিমধ্যেই ছাড়াও পেয়েছেন সইফ। তবে ঘটনার দিন গুরুতর আহত সইফের সঙ্গে হাসপাতালে যাননি করিনা কাপুর খান। আর তাতেই করিনাকে নিয়ে নানান গুঞ্জন ছড়াতে থাকে। অনেকেই বলতে থাকেন, করিনা আসলে নেশাগ্রস্ত, সইফের সঙ্গে ঘটনার দিন তিনি মাতায় হয়ে পড়েছিলেন। অবশেষে করিনার সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন টুইঙ্কল খান্না।
ঠিক কী বলেছেন অক্ষয়পত্নী টুইঙ্কল?
ঘটনা প্রসঙ্গে নিজের কলমে টুইঙ্কল লেখেন, ‘সইফ আলি খানের ছুরিকাঘাতের পর অনেকেই এখন আরও বেশি করে সচেতন হয়েছেন। ঘরে ঘরে নিজেদের সুরক্ষ নিয়ে অনেকেই সজাগ থাকছেন। ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে। তবে সইফ যখন হাসপাতালে, তখন হাস্যকর কিছু গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে হামলার সময় তাঁপ স্ত্রী বাড়িতে ছিলেন না। কিংবা হামলার সময় তাঁকে সাহায্য করার পরিস্থিতি তাঁর ছিল না, কারণ তিনি নেশাগ্রস্ত ছিলেন। যেহেতু কোনও প্রমাণ নেই, তাই এই বোকা তত্ত্বগুলিকে থামানো যায়নি। বউয়ের ওপর দোষ চাপিয়ে লোকে আনন্দ পায়।- এটা খুব পরিচিত বিষয়।’
‘ওকে ঠিকমতো সামলাতে না পারার জন্য ওরা তোমাকে দোষারোপ করবেই’
এটা একটা বড় সমস্যা। স্বামীদের সমস্ত ভুলের জন্য সবসময় স্ত্রীদেরই দোষারোপ করা হয়। টুইঙ্কল লেখেন, এটা একটা দীর্ঘদিনের সমস্যা। যদি আপনার স্বামীর ওজন খুব বেশি বেড়ে যায় তাহলে বলা হবে আপনি ওঁর স্বাস্থ্যের যত্ন নিচ্ছেন না। যদি সে খুব বেশি রোগা হয়ে যায়, তাহলে লোকে বলবে, আপনি ঠিকমতো খাওয়াচ্ছেন না। আপনার ঘর যদি অপরিচ্ছন্ন থাকে তাহলে আপনি অলস। যদি খুব যত্নশীল হন, তাহলে লোকে বলবে আপনি একটি নিয়ন্ত্রণ ফ্রিক। আপনি যদি কাজ করেন তাহলে হবেন উচ্চাভিলাষী, আপনি যদি তা না করেন তহলে আপনি কোনও কিছুর জন্যই ভাল নন। যদি তিনি আপনার উপর যত্নশীল হন তাহলেও বলবে আপনি নিশ্চয় কারসাজি করছেন। যদি তিনি উদাসীন হয় তহলেও তাঁকে সঠিকভাবে পরিচালনা না করার জন্য আপনাকেই দোষারোপ করা হবে।'
টুইঙ্কল লেখেন, ‘গত সপ্তাহে, আমি একটা ছোট পারিবারিক সমাবেশে যোগ দিয়েছিলাম যেখানে একজন আত্মীয় মন্তব্য করেন, দেখো, আমার পাঁচ কাকার মাথায় টাক পড়েছে, আর যার এখনও চুল আছে, একমাত্র তিনিই বিবাহিত নন। আপাতদৃষ্টিতে, তাই টাকের জন্যও স্ত্রীদেরও দায়ী করা যেতে পারে। এ প্রসঙ্গে একতা কথা বলা খুব প্রয়োজন প্রত্যেক পুরুষ, তিনি পরাজিত হন কিংবা জয়ী, তাঁদের সকলের পিছনেই কিন্তু একজন নারী রয়েছেন। আর যাই ঘটুক তাঁর নিন্দে হবেই।’
প্রসঙ্গত সইফের উপর হামলার রাতে করিনা সম্ভবত নিজের বাড়িতে ছিলেন না। করিনার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিজে, বন্ধুদের সঙ্গে নাইট আউটের ছবিই তার প্রমাণ। যে ছবিতে ছিলেন তাঁর বন্ধু সোনম কাপুরও। এদিকে ঘটনা প্রসঙ্গে সইফ কিংবা করিনা সেভাবে প্রকাশ্যে কোনও মন্তব্যই করেননি। তবে করিনা এর আগে ঘটনা প্রসঙ্গে নিজের নীরবতা ভেঙে ইনস্টাগ্রামে লেখেন, ‘এটি আমাদের পরিবারের জন্য একটি অবিশ্বাস্যভাবে চ্যালেঞ্জিং দিন। আমরা এখনও ঠিক কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এই কঠিন সময়ে আমি শ্রদ্ধার সঙ্গে এবং বিনীতভাবে মিডিয়া ও পাপারাৎজিকে অনুরোধ করছি, জল্পনা- কল্পনা করে কিছু লিখবেন না।’