টুইঙ্কল খান্না, বরাবরই স্পষ্ট কথার মানুষ, সোজা কথা সোজা ভাবে বলতে কোনওদিনই দ্বিধা করেন না অক্ষয়পত্নী। যে কোনও রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়ে নিজের হাতে কলম তুলে নেন ‘মিসেস ফানিবোনস’ (ছদ্মনাম)। আরজি করের ঘটনার পরও কলম ধরেছিলেন টুইঙ্কল। তবে শুধু আরজি কর নয়, সাম্প্রতিক সময়ে বিহার, অসম, বদলাপুর সহ বিভিন্ন জায়গায় নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। সেবিষয়ে এবার সরব হলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী, লেখিকা টুইঙ্কল খান্না।
টাইমস অফ ইন্ডিয়াযর জন্য লেখা নিজের কলমের শিরোনামে টুইঙ্কল দিয়েছেন, ‘কেন ভূতেরা আর ভারতীয় স্ত্রীদের ভয় দেখায় না।’ কারণ টুইঙ্কলের মনে হয়েছে ‘অন্ধকার রাস্তায় মহিলাদের জন্য ভূতের থেকে পুরুষরা বেশি বিপজ্জনক।’ একদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা যৌন নিগ্রহের ঘটনা, তার উপর এই আবহে সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া অমর কৌশিকের ছবি স্ত্রী-২ দেখে ফেলেছেন টুইঙ্কল।
টুইঙ্কেলের কথায়, ‘আমাদের চারপাশে যে ধরনের ঘটনা ঘটছে, তাতে হরর মুভিগুলি তুলনামূলকভাবে কম ভীতিকর মনে হচ্ছে।’ কলকাতায় একজন শিক্ষানবিশ ডাক্তারকে ধর্ষণ ও হত্যা, বদলাপুরের এক স্কুলে যৌন নির্যাতনের শিকার হওয়া-২-৪ বছরের শিশু'র কথা উল্লেখ করে টুইঙ্কল বলেন, 'স্ত্রী-২ আসলে ছিল মহিলাদের দৈনন্দিন অভিজ্ঞতার একটি অন্তর্ঘাত'।
টুইঙ্কল লেখেন, 'এই গ্রহে পঞ্চাশ বছর পরেও আমি দেখতে পেয়েছি আমরা এখনও আমাদের মেয়েদের সেই একই জিনিস শেখাচ্ছি। যা আমাকে ছোটবেলায় শেখানো হয়েছিল যে একা যাবেন না। পার্কে, স্কুলে যেতে, কাজ করতে কোথাও একা যাবে না। কোনও পুরুষের সঙ্গে একা যাবেন না। এমনকি সেটা যদি তোমার কাকা, তুতো ভাই, বন্ধু যেই হোক না কেন, কোথাও একা যাবে না। তুমি একা যেও না, কারণ তুমি আর কখনও ফিরে আসতে নাও পারো।
টুইঙ্কল উপসংহারে বলেছিলেন, ‘আমাদের ঘরে সীমাবদ্ধ না রেখে পাবলিক স্পেসে মহিলাদের সুরক্ষা ব্যবস্থার গ্যারান্টি দিয়ে আইন প্রয়োগ ও অনুসরণ করার সময় এসেছে। ততদিন আমার মনে হয়, পুরুষের চেয়ে অন্ধকার গলিতে ভূতের মুখোমুখি হওয়াই এ দেশের নারীদেরই নিরাপদ।’ অর্থাৎ টুইঙ্কলের এই কথাতেই স্পষ্ট, মেয়েদের নাইট ডিউটি থেকে এরাজ্যের সরকার যেভাবে বিরত রাখার কথা বলেছে, সেবিষয়েই সরব হয়েছেন টুইঙ্কল।