প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা লেখিকা টুইঙ্কেল খান্নার ‘সেন্স অফ হিউমার’ নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। নিজেও নিজেকে ট্রোল করতে ছাড়েন না মিসেস ফানি বোনস। মেলা বক্স অফিসে সুপার ফ্লপ হওয়ার পর অভিনয় কেরিয়ারে ইতি টেনেছিলেন টুইঙ্কেল। তবে মেলার তিক্ত অভিজ্ঞতা আজও তাড়া করে বেড়ায় টুইঙ্কেলকে। ২০০০ সালে মুক্তি পেয়েছিল এই ছবি।
নিজের সাম্প্রতিকতম ইনস্টাগ্রাম পোস্টে মেলার স্মৃতি রোমন্থন করলেন টুইঙ্কেল। যদিও স্মৃতি সতত সুখকর নয়। টুইঙ্কেলের পোস্টে দেখা গেল একটা ট্রাকের পিছনে মেলা সিনেমার পোস্টার। মেলার ভিলেন গুজ্জার অর্থাত্ টিনু ভর্মার ছবি সেখানে ধরা পড়েছে। টুইঙ্কেল মজার ছলে লেখেন- ‘কিছু জিনিস, আমার মনে হয় কালজয়ী! এটি আমার মেসেজবক্সের মধ্যে আজ এসেছে এবং মেলা আমার জীবনে একটা দাগ ফেলে রেখে গেছে, আপনি যেভাবে এটাকে দেখুন না কেন… আমার জীবনেও আর গোটা দেশের মধ্যেও'।
১৯৯৫ সালে ‘বারসাত’র মধ্যে দিয়ে বলিউডে অভিষেক হয় টুইঙ্কেলের। তাঁর কয়েক বছর পরেই তিনি অভিনয় জগত থেকে দূরে সরে যান।২০০১ সালে মুক্তি পেয়েছিল টুই্ঙ্কেল অভিনীত শেষ ছবি ‘লাভ কে লিয়ে কুছ ভি করেগা’। মূলত মেলা ব্যর্থ হওয়ার জেরেই নিজেকে অভিনয় জগত থেকে দূরে সরিয়ে নেন টুইঙ্কেল। নিজের মুখে সে কথা বহুবার স্বীকার করেছেন অক্ষয় ঘরনি। মেলায় টুইঙ্কেলের পাশাপাশি মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন আমির খান ও তাঁর ভাই ফয়জল খান।
এই ছবি তাঁকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছিল- অভিনয়টা তাঁর পছন্দের জায়গা নয়। তিনি এই কাজে স্বচ্ছন্দ নন। ডেস্কে বলে কলম হাতে নিজের মনের ভাবনা বন্দি করতেই তিনি ভালোবাসেন। একই বছরে বিয়ের পর্ব সেরে অক্ষয়ের সঙ্গে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেন টুইঙ্কেল।
২০১৮ সালে সিনেমা জগতে কামব্যাক করেন টুইঙ্কেল খান্না, তবে এবার প্রোডিউসারের ভূমিকায়। আর বাল্কির ‘প্যাডম্যান’এ প্রোডিউসার ছিলেন টুইঙ্কেল, যেখানে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর স্বামী অক্ষয় কুমার। মেনস্ট্রুয়াল হাইজিনের প্রেক্ষাপটে তৈরি ভারতের বাস্তব হিরো অরুণাচলম মরুগানথমের এই বায়োপিক জাতীয় পুরস্কারেও সম্মানিত হয়েছে।