বলিউডের অন্যতম প্রথম সারির পরিচালক করণ জোহার। ধর্মা প্রোডাকশন হাউসের অধিকর্তা তিনি। নেপোটিজমের মতো নানা অপ্রীতিকরপ অভিযোগে বিদ্ধ এই প্রযোজক। পাশাপাশি ব্যক্তিগত জীবনে ‘সিঙ্গেল পেরেন্ট’ করণ। বিয়ে করেননি, তবে সারোগেসির মাধ্যমে দুই সন্তান যশ ও রুহির বাবা হয়েছেন কেজো। কিন্তু সত্যি কি কোনওদিন কারুর প্রেমে পরেননি করণ?
একসময় প্রাক্তন অভিনেত্রী তথা অক্ষয় কুমার পত্নী টুইঙ্কেলের প্রেমে পড়েছিলেন করণ জোহর, অন্তত খোদ টুইঙ্কেল এমনই দাবি করেছেন। ২০১৫ সালে পিছন ফিরে তাকালে, যখন টুইঙ্কেলের প্রথম বই ‘মিসেস ফানি বোনস’ মুক্তি পেয়েছিল, সেই সময় স্মৃতিচারণ করতে দেখা যায় করণ এবং টুঙ্কেলকে। অভিনেত্রী দাবি করেন, স্কুল জীবনে তাঁর ওপর ক্রাশ ছিল করণের। এমনকি তাঁর কাছে ভালবাসার আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বলি প্রযোজক। করণও অবশ্য স্বীকার করেছেন, টুইঙ্কেলই একমাত্র মহিলা যাঁর প্রতি তাঁর ভালোবাসা ছিল। বইপ্রকাশ অনুষ্ঠানের সময় টুইঙ্কেল পরিচিত মেজাজে বলেন, ‘করণ জানিয়েছিল, ওঁর আমার প্রতি ভালবাসা রয়েছে। তখন আমার হালকা হালকা গোঁফ ছিল। করণ সেগুলোকে দেখে বলত, ‘এটা হট, তোর গোঁফ আমার পছন্দ’।
সংবাদ সম্মেলনে টুইঙ্কেল আরও বলেন, একবার বোর্ডিং স্কুল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন করণ। কিন্তু স্কুলের গেটের বাইরে বেরোনোর আগেই সেই সময় ধরা পড়ে যায় সে। ‘আমরা একটি পাহাড়ের শেষ প্রান্তে ছিলাম, তাই আমি বলেছিলাম 'পাহাড় থেকে নেমে, সেখান থেকে একটি নৌকা নিয়ে আসো এবং পালিয়ে যাও।' ও পাহাড় থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করতে গিয়ে ধরা পড়ে যায়। স্কুল কর্তৃপক্ষের ওকে তুলে আনতে দু’ঘণ্টা লেগে যায়। এরপরই স্কুলের সমাবেশে প্রিন্সিপালের পাশে ওকে দাঁড় করিয়ে পালতকের অবস্থার উদাহরণ হিসেবে সকলকে দেখানো হয়েছিল’।
এই ঘটনার পরই করণ, তাঁর বাবা-মায়ের কাছে স্কুল থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করেছিল। তখন করণ জোহরে বয়স ছিল মাত্র ১২ বছর। করণ জানিয়েছিলেন, এটা তাঁর জীবনের চরম অবমাননাকর একটা মুহূর্ত ছিল।
পরিচালক হিসেবে ডেবিউ করার সময় করণ চেয়েছিলেন, কুছ কুছ হোতা হ্যায়তে টিনার (রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত) চরিত্রে টুইঙ্কেল অভিনয় করুক। যাই হোক, করণের মন ভেঙে ছবিতে না বলেছিলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী। করণ ঝুলিতে রয়েছে কাভি খুশি কাভি গম, মাই নেম ইজ খান, অ্যায় দিল হ্যায় মুশকিল-এর মতো একগুচ্ছ সুপারহিট সিনেমা। অন্যদিকে অভিনয় ছেড়ে লেখিকা হিসেবে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন টুইঙ্কেল।