উত্তর প্রদেশের হাপুরের নিপুণ এবং নিকুঞ্জ গোয়েল এবার JEE মেইন পরীক্ষার প্রথম এবং দ্বিতীয় হয়েছেন। তাঁরা ১০০ এবং ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন যথাক্রমে। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির তরফে মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারি এই ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিপুণ ছাড়াও আরও ২৪ জন এই পরীক্ষায় ১০০ তে ১০০ পেয়েছেন।
এই দুই গোয়েল ভাই জানিয়েছেন যে পড়াশোনার বিষয়ে তাঁরা একে অন্যকে ভীষণই সাহায্য করতেন এবং একই সঙ্গে তাঁদের মধ্যে একটি সুস্থ প্রতিযোগিতা থাকত। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিপুণ বলেন, ' গত দুই বছরে আমরা একে অন্যকে ভীষণ সাপোর্ট করেছি। আমাদের শিডিউল, পড়াশোনার স্ট্র্যাটেজি একদম ঠিক করা থাকত। আর সেটাই আমাদের কাজে লেগেছে। যদি আমরা কেউ কোনও টপিকে আটকে যেতাম, বা পারতাম না তাহলে আমরা একসঙ্গে দুজনে মিলে সেটার সমাধান খোঁজার চেষ্টা করতাম।' আপাতত এই দুই যমজ ভাইয়ের একটাই লক্ষ্য, আইআইটি দিল্লি বা বম্বেতে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ভর্তি হওয়া।
কিন্তু অন্যান্য কোনও বিভাগের বদলে তাঁরা কেন এই ভীষণ একটি সাবজেক্ট বেছে নিচ্ছেন? এই বিষয়ে নিপুণ বলেন, 'আমরা দুজনেই রামগোপাল রাও (আইআইটি দিল্লির প্রাক্তন ডিরেক্টর) ছাত্রদের সিএসই নিয়ে যে পরামর্শ দিয়েছেন, তার বাইরে কিছু করার কথা বলেছেন সেটার বিষয় অবগত। কিন্তু আমাদের দুজনের কোডিংয়ের উপর ভীষণ আগ্রহ আছে। আমরা এটা নিয়েই পড়তে চাই যাতে আমাদের কোডিং নিয়ে বোঝা পড়া, ভাবনা আরও ভালো হয়।'
এই দুই ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র যে কেবল পড়াশোনা নিয়েই ডুবে থাকতেন তেমন কিন্তু নয়। তাঁরা দুজনেই জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো শার্ক ট্যাঙ্কের ভীষণ বড় ভক্ত। যদিও পরীক্ষার জন্য তাঁদের সিজন ২টা দেখা হয়নি বলেই জানান। তাঁদের কথায়, 'আমরা যেহেতু জেইই মেইনের জন্য নিজেদের তৈরি করছিলাম সেহেতু এখনও সিজন ২ দেখা হয়নি। এবার তো আমাদের পছন্দের শার্ক অসনীর গ্রোভারও নেই।'
আপাতত প্রাথমিক লক্ষ্য ছুঁয়ে ফেলার পর এই দুই ভাই চান তাঁরা একদিন নিজেদের স্টার্ট আপ তৈরি করবেন আর সেটার জন্য ফান্ড তুলতে একদিন তাঁরা এই শার্ক ট্যাঙ্কেই আসবেন। তাঁদের কথায়, ' আমরা সুযোগ পেলে আমাদের ভাবনাগুলো একদিন শার্কদের সামনে রাখব।'
তবে পড়াশোনা আর শার্ক ট্যাঙ্ক ছাড়াও তাঁরা দুজনেই বাস্কেট বল, ভিডিয়ো গেমস খেলতে ভালোবাসেন বলেই জানান।