বুধবার বেশ কয়েকঘন্টার জন্য অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াতের ভ্যারিফাইয়েড টুইটার অ্যাকাউন্টটির উপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অভিনেত্রী উস্কানিমূলক টুইটের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানোর জেরে এই সিদ্ধান্ত নেয় টুইটার কর্তৃপক্ষ। কারণ মাইকো ব্লগিং সাইটের মাধ্যমে হিংসা ছড়ানো টুইটারের গাইডলাইনের বিরোধী। কঙ্গনা ড্যামেজ কন্ট্রোলে সেই টুইটটি ডিলিট করে দিলেও নায়িকার টুইটের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়ে যায় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাণ্ডব বিতর্ক নিয়ে টুইট করতে দিয়ে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘এবার সময় এসেছে ওদের মু্ণ্ডুচ্ছেদ করবার’।
পরিচালক আলি আব্বাস জাফরের ওয়েব সিরিজ ‘তাণ্ডব’ মুক্তির পর থেকেই রয়েছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। একাধিক বিজেপি নেতা দাবি করেছেন সইফ আলি খান অভিনীত এই সিরিজে হিন্দুদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়েছে। কঙ্গনার উপর লাগানো প্রতিবন্ধতকা সম্পর্কে টুইটার কর্তৃপক্ষ নিজস্ব সাফাই দিয়েছে।
'আমরা সেই সমস্ত অ্যাকাউন্টের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিই যা টুইটারের নিয়মাবলি লঙ্ঘন করে। আমরা মানুষকে স্বাগত জানাই নিজেদের মতাদর্শ তুলে ধরতে, বাক স্বাধীনতার খেয়ালও আমরা রাখি কিন্তু আমাদের গাইডলাইন অনুযায়ী অশ্লীলতা বরদাস্ত করা হয় না। আপনি কাউকে নিগ্রহ করতে পারেন না কিংবা অন্যকে উত্সাহিত করতে পারেন না এই কাজে যোগ দিতে', এনডিটিভিকে জানিয়েছেন টুইটারের মুখপাত্র।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘মৃত্যু কামনার ইচ্ছা প্রকাশ করে করা কোনও কনটেন্ট কিংবা কোনও ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর ক্ষতি চাওয়া, হিংসা ছড়ানোর মতো কাজ কেউ করলে আমরা সেই অ্যাকাউন্টিকে গাইডলাইন লঙ্ঘনের জন্য রিড-ওনলি মুডে রেখে দিই'। 'রিড ওনলি মুড'-এর অর্থ সেই সময়কালের জন্য অ্যাকাউন্ট থেকে নতুন কোনও টুইট লেখা যাবে না।
কিন্তু কী কারণে এই নিষেধাজ্ঞা?
কঙ্গনা রানাওয়াত গত সোমবার ‘তাণ্ডব’ বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলে লেখেন, ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ শিশুপালর ৯৯টা ভুল ক্ষমা করেছিল.. প্রথমে শান্তি পরে ক্রান্তি.. তাঁদের গর্দান নামিয়ে দেওয়ার সময়... জয় শ্রী কৃষ্ণ’। অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলে সরব সাইবারবাসীদের একটা অংশ। টুইটার থেকে কঙ্গনাকে বহিষ্কৃত করবার দাবিও জানানো হয়। বুধবার সকাল থেকে দিনভর ট্রেন্ডিংয়ে ছিল #SuspendKanganaRanaut হ্যাশট্যাগ।
যদিও টুইটার কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত সহজভাবে নেননি কঙ্গনা। এই মর্মে টুইটারে ফের বিস্ফোরক মন্তব্য করেন ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’। মেজাজ হারিয়ে তিনি লেখেন, ‘লিব্রু’রা কান্নাকাটি করে জ্যাক (জ্যাক ডরসি, টুইটারের সিইও) চাচাকে বলে আমার অ্যাকাউন্টে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ওঁরা ভয় দেখাচ্ছে যে কোনও সময় আমার অ্যাকাউন্টটি বা আমার ভার্চুয়াল পরিচিতিটা দেশের জন্য শহীদ হয়ে যাবে। কিন্তু আমার ‘দেশভক্ত ভার্সন’ ফের রিলোড হবে আমার ছবির মাধ্যমে। তোমাদের জীবন দুষ্কর করে দিয়ে তবেই দম নেব'।
অপর একটি টুইটে নিজের বিরুদ্ধে চলতে থাকা #SuspendKanganaRanaut ট্রেন্ড প্রসঙ্গে সরব হন নায়িকা। লেখেন, এগুলি ‘অ্যান্টি ন্যাশনাল’দের কাজ।তিনি লেখেন, যখন ওরা রঙ্গোলিকে সাসপেন্ড করিয়েছিল, আমি এসে ওদের জীবন লন্ডভন্ড করে দিয়েছি। এবার যদি আমাকে সাসপেন্ড করে, আমি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড থেকে বিদায় নেব, তবে আসল জীবনে দেখাব কঙ্গনা রানাওয়াত আসলে কী জিনিস- সব দাদাদের উপরে আমি… ব্ববর শেরনি'।