ভূত আছে কী নেই, সেই তর্কের শেষ নেই। তবে প্রচুর সিনে প্রেমীরা ভূত অথবা সাসপেন্সের নতুন ছবির জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকেন। তবে টলিগঞ্জে যে ধরণের ছবি নিয়ে সবথেকে কম কাজ করা হয়, তা নিঃসন্দেহে হরর। কমিক্স বইয়ের ধাঁচে এবার ভয়ের ছবি নিয়েই সকলের মনে শিহরণ জাগাতে আসছেন পরিচালক সায়ন বসু চৌধুরী। ছবির নাম ‘হরর স্টোরিজ’।
একই ছবিতে রয়েছে দুটি গল্প রয়েছে, যা একে অপরের সঙ্গে ন্যারেটরের মাধ্যমে যুক্ত। প্রথম গল্পের নাম ‘চাইনিজ বক্স’। এই অংশের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন অলিভিয়া সরকার। মৃদুভাষী, শান্তশিষ্ট, মধ্যবিত্ত পরিবারের এক মেয়ে অনন্যার গল্প ‘চাইনিজ বক্স’। তাঁর কাছে একটি ম্যাজিক বাক্স আসে। সেই বক্সের মাধ্যমে যে কোনো ইচ্ছে পূরণ করতে পারে সে।
ছবির দ্বিতীয় গল্পের নাম ‘ভয়’। সেই গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী রূপসা মুখোপাধ্যায়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ছবি সম্পর্কে বলতে গিয়ে রূপসা জানিয়েছেন, ‘পরিচালক সায়ন বসু চৌধুরী এবং অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এটাই প্রথম কাজ। এটাই আমার প্রথম ভূতের ছবি। ছবিতে আমার চরিত্র প্রেমিকের জোরাজুরিতে বিয়ে করে পরে বুঝতে পারে বিয়ে করাটা তাঁর অন্যতম ভুল সিদ্ধান্ত’।
ছবিতে রূপসার প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করছেন ছবি এবং ওয়েব সিরিজের জনপ্রিয় মুখ অভিনেতা মৈনাক বন্দ্যোপাধ্যায়। হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে মৈনাক জানিয়েছেন, ‘পরিচালক সায়ন বসু চৌধুরীর সঙ্গে এটা আমার প্রথম কাজ। ছবিতে আমার চরিত্র এক অফিস কলিগের প্রেমে পড়ে। এরপরই তাঁরা বিয়ে করেন। বিয়ের পরই মেয়েটির জীনের ঘটতে থাকে একের পর এক ঘটনা... ছবি মুক্তির পর ভক্তরা দেখলে এবং সমর্থন পেলে পরবর্তীতে আরো ভালো ছবি করার উৎসাহ পাব’।
ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে ছবির শ্যুটিং। চলছে পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ। পরিচালক সায়ন বসু চৌধুরী জানিয়েছেন, ‘ছবির বেশ কিছু চরিত্রের ডাবিংয়ের কাজও শেষ হয়েছে। এপ্রিল থেকে মে মাসের মধ্যে ছবি মুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে’।
ছবিটি মুকেশ পাণ্ডে প্রযোজিত এবং সহ প্রযোজনায় প্রিয়াঙ্কা তিওয়ারি। ‘হরর স্টোরিজ’এ অভিনয় করছেন সুরজিৎ মাইতি, সুপ্রতিম সাহা, রোশনি ঘোষ প্রমুখ। ছবিতে সিনেম্যাটোগ্রাফির দায়িত্বে রয়েছেন রফিকুল ইসলাম।