একটা সময় অভিনেতা উদয় চোপড়ার সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন নার্গিস ফাকরি। যদিও সেই প্রেমের কথা প্রকাশ্যে বলা নিষেধ ছিল। ৫ বছরের সম্পর্ক কেন ভেঙে যায় তা অজানা, তবে রণবীরের রকস্টার নায়িকার ব্যক্তিগত জীবন সবসময়ই থেকেছে চর্চায়। কিন্তু তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে লোকে কথা বলুক, এমনটা না-পসন্দ নায়িকার। পাপারাৎজি কালচারের জেরে আজ তারকাদের ব্যক্তিগত জীবনে বেশি উঁকিঝুঁকি মারার সুযোগ পাচ্ছে জনতা মনে করেন নার্গিস।
এক সাক্ষাৎকারে নার্গিস জানিয়েছেন,'আমি একজন সৎ মানুষ, আমার সমস্য়া নেই যদি কেউ আমাকে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে প্রশ্ন করে। কিন্তু সমস্যা হল সকলে সেটাই হাইলাইট করে আমার কাজকে উপেক্ষা করে। আমি ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে লজ্জিত নই, তবে চাই লোকে আমার কাজ নিয়ে কথা বলুক। কিছু মানুষ আছেন যাঁরা ব্যক্তিগত জীবন, তাঁদের প্রেমজীবন নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ নয়। সেটা তাঁদের সিদ্ধান্ত, সেটাকেও সম্মান করা উচিত।'
ইন্টারনেটের জন্যই আজ মানুষের জীবনে গোপনীয়তা বলে কিছু নেই মনে করেন নার্গিস। অভিনেত্রী জানান, ‘সোশ্যাল মিডিয়া জানে আপনি কী দেখতে পছন্দ করেন। প্রাইভেসির অর্থটাই বদলে গিয়েছে ইন্টারনেটের সুবাদে। আমরা তো মনে হয় আমরা সবাই নগ্ন। আমি রেগে যাই কখনও কখনও, যে মানুষের কীসের এত মাথাব্যাথা যে আমি কাকে ডেট করছি? কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি মাথা ঠাণ্ডা রাখি’।
‘মাদ্রাস ক্যাফে’, ‘ফাটা পোস্টার নিকলা হিরো’, ‘মেয় তেরা হিরো’র মতো ছবি কাজ করেছেন নার্গিস। তবে এই বিদেশিনী সেইভাবে বলিউডে দাগ কাটতে পারেননি। উদয় চোপড়ার সঙ্গে ব্রেকআপের পর মার্কিন ব্যবসায়ী টনি বেজ (Tony Beig)-এর সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল নার্গিসের। তবে হিন্দুস্তান টাইমসকে চলতি বছরের শুরুতে নায়িকা জানান, ‘আমি ততদিন সিঙ্গল, যতদিন পর্যন্ত আমার হাতের আঙুলে কারুর নামের আংটি না থাকে। শুধু এইটুকুই বলতে চাই’।
নার্গিসকে শেষ পর্দায় দেখা গিয়েছে ‘তোরবাজ’-এ। ২০২০ সালে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েচিল এই ছবি।