সোমবার রাত ১০টা নাগাদ উদিত নারায়ণের আন্ধেরির ওবেরয় কমপ্লেক্সের ১৩ তলা স্কাই প্যান বিল্ডিংয়ের ১১ তলার একটি ফ্ল্যাটে আগুন লাগে। বিল্ডিংয়ের বি উইংয়ে আগুন লেগে যায়। আর গায়কও থাকেন বহুতলের ওই উইংয়েই। এই খবর আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। তারপর মঙ্গলবার রাত ১টা ৪৯ মিনিট নাগাদ প্রায় চার ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এবার এই প্রসঙ্গে সেই সময়কার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিলেন উদিত নারায়ণ।
তিনি জানান, দমকল বিভাগ আগুন নেভানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছিল। তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘রাত ৯টার দিকে আগুন লাগে। আমি ওই উইংয়ে ১১ তলায় থাকি। বি উইংয়ে আগুন লেগেছিল। আমরা সবাই নেমে অন্তত তিন-চার ঘণ্টা বাইরে অপেক্ষা করছিলাম। এটা খুবই বিপজ্জনক ছিল। অনেক কিছুই ঘটতে পারত। সর্বশক্তিমান ঈশ্বর ও আমাদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যে আমরা নিরাপদে আছি।’
গায়ক আরও বলেন, ‘এই ঘটনা আমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে। এটা কাটিয়ে উঠতে আমার আরও কিছুটা সময় লাগবে। আপনি যখন এমন একটি ঘটনার কথা শোনেন, তখন আপনার অদ্ভুত অনুভূতি হয়, কিন্তু যখন আপনি একই রকম পরিস্থিতিতে পড়েন তখন আপনি বুঝতে পারেন যে এটা আসলে কতটা বেদনাদায়ক।’
প্রসঙ্গত, গায়ক উদিত নারায়ণের বাড়িতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হল এক প্রবীণ নাগরিকের। আগুন লাগার পরে ধোঁয়ায় দু'জনের দমবন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাঁদের দ্রুত নিকটবর্তী কোকিলাবেন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে একজন ৭৫ বছর বয়সী ব্যক্তি ছিলেন তাঁকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছিলেন। অপর এক ব্যক্তি রৌনক মিশ্রকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা ছেড়ে দেন।
আরও পড়ুন: 'গোবিন্দার সন্তানেরাও ওঁর পরামর্শ নেয় না…' স্বামীকে নিয়ে কেন এমন বললেন সুনীতা?
ওই ফ্ল্যাটের বৈদ্যুতিক তার ও গৃহস্থালির জিনিসপত্রের মধ্যেই আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছিলেন এক কর্মকর্তা। প্রাথমিকভাবে দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগলেও ঠিক কী কারণে আগুন লেগেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্রের খবর, যে ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটে আগুন লাগে, সেখানে পাঁচজন থাকতেন। বাড়ির পরিচারিকা-সহ তিনজন অক্ষত অবস্থায় পালিয়ে গিয়েছেন। দমকল সূত্রে দাবি, ডুপ্লেক্স ফ্ল্যাটের ভিতরের সিঁড়ির বেহাল দশার কারণে আগুন নেভানোর ব্যবস্থা অকেজো হয়ে পড়েছিল।