সাহিত্য জগতে একটি যুগান্তকারী মুহূর্ত তৈরি হল গতকাল। ১২ নভেম্বর ২০২৪ বুকার পুরস্কার ছিনিয়ে নিলেন অরবিটাল বইয়ের লেখিকা সামান্থা হার্ভে। লন্ডনের ওল্ড বিলিংসগেটে আয়োজিত একটি জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানে সামান্থার হাতে তুলে দেওয়া হল এই পুরস্কার। ২০১৯ সালের পর প্রথম কোনও নারী এই পুরস্কার পেলেন।
অরবিটাল উপন্যাসের বিবরণ
১৩৬ পৃষ্ঠার এই বইটি একটি ক্ষতবিক্ষত পৃথিবীর গল্প। এই উপন্যাসে আমেরিকা, রাশিয়া, ইতালি, যুক্তরাষ্ট্র এবং জাপানের ৬ মহাকাশচারীর গল্প বলা হয়েছে। পৃথিবী থেকে এত দূরে থাকার সময় কীভাবে নিজের অস্তিত্বের সঙ্গে লড়াই করেছেন তাঁরা, সেটাই বলা হয়েছে এই উপন্যাসে।
(আরও পড়ুন: ডিভোর্সের গুঞ্জন, বচ্চন পরিবারের গোপন কথা ফাঁস করল অভিষেক কেবিসি-তে, তাই কি প্রোমো ডিলিট করল সোনি টিভি?)
উপন্যাসে বলা হয়েছে, ঘন্টায় ১৭ হাজার মাইল বেগে ঘুরতে ঘুরতে একদিনে ১৬ বার পৃথিবীতে প্রদক্ষিণ করেছেন তাঁরা। এই একদিনে পৃথিবীর হিমবাহ, মরুভূমি, মহাসাগর এবং পর্বতমালার যে শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য তাঁরা দেখেন, নিজেদের বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি তাঁদের আরও বেশি গ্রাস করে।
সামান্থার বক্তব্য
পুরস্কার প্রাপ্ত লেখিকা সামান্থা বলেন, ‘এই পুরস্কার আমার কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল। আমি সত্যিই আশা করিনি। এই পুরস্কারটি তাঁদের উৎসর্গ করছি যারা শান্তি, মানবতা এবং মানুষের মর্যাদার পক্ষে কথা বলেন এবং সর্বোপরি মানবতার জন্য কাজ করেন। পুরস্কারের অর্থ দিয়ে আমি একটা বাইক কিনব, যেটি আমার বহুদিনের ইচ্ছা।’
(আরও পড়ুন: 'টেক্কাই একমাত্র অরগ্যানিক হিট', দাবি দেবের! নাম না করে কটাক্ষ আবিরের, বললেন, 'এখন তো কত সাফিক্স-প্রিফিক্স...')
হার্ভের অরবিটাল কেবলমাত্র বুকার পুরস্কারের শর্টলিস্টে সর্বাধিক বিক্রিত বই হয়ে ওঠেনি, শেষ ৩টি বুকার বিজয়ীকেও ছাড়িয়ে গেছে। নিঃসন্দেহে এটি সাহিত্য জগতে একটি ইতিহাস তৈরি হল। যে উপন্যাসকে পেছনে ফেলে দিয়েছে এই উপন্যাসটি, সেটি হল ১৩২ পৃষ্ঠার পেনেলোপ ফিটজগারেল্ড।