বাংলার প্রখ্যাত ইউটিউবার উন্মেষ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর চ্যানেল ‘বাঁকুড়া মিমস’। আরজি করের ঘটনায় প্রথমদিন থেকেই সরব বাংলার প্রথম সারির সমাজমাধ্য়ম প্রভাবীরা। কিরণ দত্ত, উন্মেষরা সমাজ মাধ্যমে হোক বা পথে নেমে সরাসরি সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি। আরও পড়ুন-‘একদিকে অসুরপালক…’, নীল-সাদা হাওয়াই চটির উপর ‘দেবী’র পা! ছবি পোস্ট বিজেপি-র রুদ্রনীলের
শনিবার জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা মঞ্চ ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যাওয়ার কয়েক মিনিট পর ফেসবুকের দেওয়ালে এই সমাজমাধ্যম প্রভাবী লেখেন, ‘এলেন,ছড়ালেন,চলে গেলেন’। কারুর নাম উল্লেখ করেননি উন্মেষ, তবে নিন্দকদের ধারণা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে কটাক্ষ করেই এই পোস্ট। এরপর তৃণমূল সমর্থক তথা তৃণমূলের ছাত্রনেতারা আক্রমণ শুরু করেন উন্মেষকে। কিছু সময় পর উন্মেষ পোস্টটি ডিলিট করে দেন।
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা সন্দীপন মিত্র এরপর এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, ‘পোস্ট ডিলিট করতে বাধ্য হলেন উন্মেষ গাঙ্গুলী’। যদিও সন্দীপনের ভুল ভাঙান নেটিজেনরা। লেখেন, ‘সবার শিরদাঁড়া এখনও বিক্রি হয়নি’। সঙ্গে শেয়ার করেন উন্মেষের পোস্টের স্ক্রিনশট। নিজের পুরোনো পোস্টের স্ক্রিনশট আপলোড করেন উন্মেষ লেখেন, ‘চ্যালাগুলোর জন্য আরেকবার’।
প্রসঙ্গত, এদিন আন্দোলনরত চিকিৎসকদের ধরনা মঞ্চে মমতার উপস্থিতিক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ‘মাস্টারস্ট্রোক’ হিসাবেই দেখছে। আগামী মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার শুনানির আগে ফের আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সামনে হাজির হন মমতা। স্পষ্ট করেন, তিনি কোনওরকম শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, তিনিও আন্দোলন থেকেই উঠে এসেছেন।
মমতা জানান, মুখ্যমন্ত্রী নন, আন্দোলনকারীদের ‘দিদি’ হিসেবে তিনি সেখানে হাজির হয়েছে। নিজেকে জুনিয়র ডাক্তারদের ‘সহযোদ্ধা’ হিসেবে অভিহিত করলেন। সেইসঙ্গে দাবি করলেন যে শনিবার রাতভর যখন বৃষ্টি হয়েছে, তখন আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কথা ভেবে দু'চোখের পাতা এক করতে পারেননি। বৃষ্টির রাতে জুনিয়র ডাক্তাররা যে কষ্ট পেয়েছেন, সেটা অনুভব করেছেন তিনি নিজেও।
এরপর শনিবার বিকালে দ্রুত ‘স্বচ্ছ’ আলোচনা চেয়ে ‘দিদি’কে ইমেল করলেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। দিদিও সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সন্ধ্যে ৬টায় চিকিৎসকদের প্রতিনিধি দলকে কালীঘাটের বাড়িতে ডাকেন। সেইমতো বাস চেপে সন্ধ্যায় কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছায় ৩০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। এই বৈঠকের ফলাফলের দিকেই তাকিয়ে গোটা বাংলা।