বাংলা নিউজ > বায়োস্কোপ > Tillotama Shome: বগলের চুল দেখিয়ে সৌন্দর্যের ধারণা ভাঙলেন বাংলার মেয়ে তিলোত্তমা সোম

Tillotama Shome: বগলের চুল দেখিয়ে সৌন্দর্যের ধারণা ভাঙলেন বাংলার মেয়ে তিলোত্তমা সোম

তিলোত্তমা সোম

কেউ বলল ‘ইশ…জঘন্য’, কেউ আবার কুর্নিশ জানাল তিলোত্তমার সাহসকে। বগলের চুল দেখিয়ে অভিনেত্রীর বার্তা, ‘নিজের মতো করে বাঁচুন’। 

নারী সৌন্দর্যের চেনা-ছকে বাঁধা নিয়ম সাফ করতে হবে ‘আর্মপিট হেয়ার’। বাহুমূলের কেশ বা বগলের চুল প্রদর্শন করা যাবে না, এটা যেন কোনও এক অলিখিত নিয়ম। সেই স্টিরিওটাইপ ভাঙার চেষ্টা এর আগে বেশ কয়েকজন সেলেব্রিটি করেছেন, এবার সেই তালিকায় জুড়ে গেল বাংলার মেয়ে তিলোত্তমা সোমের নাম। 

আসলে চেনা ছকে কোনওদিনই নিজেকে বেঁধে রাখেননি তিলোত্তমা। ‘মনসুন ওয়েডিং’ খ্যাত এই অভিনেত্রী বুধবার একটি ছবি পোস্ট করেন ইনস্টাগ্রামের দেওয়ালে। সেখানেই দেখা গেল শীতের সকালে দু- হাত মাথার পিছনে দিয়ে রোদ পোহাচ্ছেন তিনি, পরনে কালো রঙের স্লিভলেস টি-শার্ট। টি-শার্টেও লেখা রয়েছে ‘un-apologetic’ (ক্ষমাপ্রার্থী নই)। আর ছবিতে স্পষ্ট দেখা গেল তাঁর আর্মপিট হেয়ার যা ঢাকবার কোনওরকম প্রয়াস দেখাননি অভিনেত্রী। 

নায়িকার মুখে এক প্রশান্তির হাসি। ছবির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, ‘আমি প্রায়শই সরি (Sorry) বলি। কখনও কখনও তো কেউ ক্ষমা চাইলে আমি তার পরিবর্তে ক্ষমা চেয়ে বসি। যেন আমি হ্যালোর জবাবে পালটা হ্যালো বলছি। আমি যদি ভালো কিছু করি তাহলেও ক্ষমা চাই, কারণ হয়ত আমি সেটা আরও ভালো করতে পারতাম।…. এই টি-শার্টটা হল একটা রিমাইন্ডার যাতে আমি যততত্র ক্ষমা না চাই, বরং তখন ক্ষমা চাই যখন সত্যি আমি সেটা মন থেকে চাইব’। নিজের বাহুমূলের কেশের কথাও এই পোস্টের ক্যাপশনে উল্লেখ করেছেন তিলোত্তমা। তিনি লেখেন, ‘শরীরের চুল নিয়ে কী বলব একদম ক্ষমাপ্রার্থী  নই। আমি তেমন পোশাক করি, যেমন পছন্দ করি। এটা কোনও বিশেষ বার্তা নয়, আমিও লোম তুলি, আবার কখনও তুলি না। ভালো কাটুক দিনটা’। 

তিলোত্তমার এই পোস্ট ঘিরে হইচই সোশ্যাল মিডিয়ায়। জমিয়ে সমালোচনাও করছেন নেটিজেনরা। একজন লেখেন, ‘ইশ… জঘন্য লাগছে’। তাঁকে পালটা জবাবও দেন অভিনেত্রী। লেখেন, ‘লাগুক না, নিজের মতো থাকুন, অন্যকে তাঁর মতো থাকতে দিন। আপনার দিন ভালো কাটুক’। অনুরাগীরা অবশ্য পরামর্শ দেন নিন্দুকদের মন্তব্যকে গুরুত্ব না দিতে। বগলের চুল নিয়ে কোনও রাখঢাক না রেখে স্টিরিওটাইপ ভঙ্গ করার এই সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেছেন বহু মানুষ।

নারীদেহে লোমের অস্তিত্ব মানতে মোটেও কুণ্ঠিত তিলোত্তমা। এর আগে একই কাজ করেছেন বলিউডের কালকি কোয়েচলিন, মালাইকা আরোরারা। হলিউডে তো এই উদাহরণ রয়েছে অগুণতি, সুপার মডেল এমিলি রাতাজকভস্কি থেকে হালফিলে ম্যাডোনা কন্যা লর্ডিস। 

সম্প্রতি ‘স্যার’ ছবিতে পরিচারিকার ভূমিকায় অভিনয় করে নজর কেড়েছেন তিলোত্তমা। ঝুলিতে এসেছে ফিল্মফেয়ারের মঞ্চে সেরা অভিনেত্রী (ক্রিকিকস)-এর পুরস্কারও। বরাবরই প্রথা ভাঙতে ওস্তাদ বাংলার এই কন্যে। এদিন তিলোত্তমার এই পোস্ট যেন প্রশ্ন তুলল, কেবল মেয়েদের বেলাতেই কেন এত আড়চোখ?

বন্ধ করুন