কৌন বনেগা ক্রোড়পতি ১- এর সর্বশেষ পর্বে সকলের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। কারণ বাংলার ছেলে চায়ের দোকানে কাজ করা মন্টু সরকার জিতে নিয়েছে ২৫ লাখ।
ফাস্টেস্ট ফিঙ্গার ফার্স্ট রাউন্ড জিতে হট সিটে বসেন মি্টু। পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জের একটি চায়ের দোকানের মালিক সে। তিনি জানালন, গত বছর থেকেই কেবিসি-তে আসার চেষ্টা করছিলেন। অবশেষে তাঁর সেই সাধ পূরণ হয়েছে।
মিন্টু তার জীবনের লড়াই তুলে ধরেন কেবিসি-তে। জানান, তিনি একটি চায়ের দোকান চালান। সঙ্গে রেশন বিক্রিও করেন। ২০২৪ সালে হারিয়েছেন বাবাকে। যে বাবা সবসময় তাঁকে পড়াশোনায়মনযোগ দিতে বলত, হঠাৎ চলে যায় সেই বাবাই। স্বভাবতই বাবার মৃত্যুর পর, তাঁর গোটা দুনিয়াটা ওলট-পালট হয়ে যায়। সংসারের দায়িত্ব নিতে বাধ্য হন। কঠিন বাস্তবের সঙ্গে সেই থেকেই লড়াই শুরু।
আরও পড়ুন: ‘মিত্তির বাড়ির’ মেজ বউর বিয়েতে আদৃত, রইল পৌলমীর মালা বদল থেকে সিঁদুর দানের ছবি
মিন্টুকে বলতে শোনা গেল, দোকান থেকে প্রতি মাসে তাঁর ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার আয় হয়। উপরন্তু, তিনি তার রেশন দোকান থেকে সরকারি প্রকল্পের মাধ্যমে চাল, ডালের মতো প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পান। যা তাঁকে ও তাঁর মাকে সাহায্য করে সংসার চালিয়ে নিয়ে যেতে। ক্লাস টেনের পরীক্ষাও দিতে পারেননি।
আরও পড়ুন: ঝড় নয় টর্নেডো! আল্লুর পুষ্পা ২-এ কাবু দর্শক, ২দিনে বক্স অফিসে ছবির আয় কত হল
খেলার মাঝে বিগ বি একটি সোনার মোহরো উপহার দেন মিন্টুকে। তাতে বাংলার ছেলে, এই কেবিসি প্রতিযোগী জানান, তাঁর পরিবারে শেষ সোনা কেনা হয়েছিল তার বোনের বিয়ের জন্য। দর্শকদের মধ্যে বসে থাকা মায়ের হাতেই এই সোনার মুদ্রাটা তুলে দেয় সে।
আরও পড়ুন: ৩ মাসের মেয়েকে রেখে দিলজিৎ দোসাঞ্জের কনসার্টে দীপিকা! ‘দুয়ার দায়িত্ব বাবা রণবীরের’, বলল ভক্তরা
একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে দর্শকদের কাছে তুলে ধরা হয় মিন্টুর জীবনসংগ্রাম। মিন্টু তার এবং তার মা যে আর্থিক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, তা দেখে চোখে জল চলে আসে অনেকেরই। জানা যায়, নিজেদের কোনো কৃষি জমিও নেই। একটি এক একরের জমি থাকলেও, বাবার চিকিৎসার সময় সেটা বন্ধক রেখেছিলেন। আর এটি ছাড়াতেই আসলে রায়গঞ্জে চায়ের দোকান চালানো ছেলেটির কেবিসিতে আসা। ১ লাখ টাকা জিতলেই বাবার স্মৃতিতে ছাড়িয়ে আনবেন তিনি সেটিকে। মিন্টুকে বাবার জন্য দুঃখ করতে দেখা যায়। তিনি জানানা, আজ বাবা থাকলে তাঁকে নিয়ে গর্ব করত।