অনেকেই বলেন, ছোটবেলার স্মৃতি সততই সুখের। তবে সকলের ক্ষেত্রে হয়ত একথা সত্যি হয়না। ঠিক যেমনটা ছিল না সোশ্যাল মিডিয়া সেনসেশন, 'ফ্যাশনিস্তা' উরফি ক্ষেত্রে। তাঁর কাছে শৈশবের স্মৃতি মোটেও মধুর নয়। ছোটবেলার স্মৃতি তাঁকে এখনও তাড়া করে ফেরে। সম্প্রতি তা নিয়েই মুখ খুলেছেন উরফি জাভেদ।
উরফি সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি যখন মাত্র ১৫ বছরের, তখন কেউ বা কারা পর্ন সাইটে তাঁর ছবি পোস্ট করে দেন। উরফি বলেন, ‘আমি টিউব টপ পরা এক সাধারণ ছবি ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার করেছিলাম, সেই ছবিই কেউ ডাউনলোড করে পর্ন সাইটে পোস্ট করেন। বিষয়টা আত্মীয়রা জানতে পারলে আমাকেই দোষারোপ করা শুরু করলেন। আমাকে বলা হয়েছিল আমি নাকি ‘পর্নস্টার’। আমি অবাক হয়ে বললাম, তাই যদি হবে তাহলে ভিডিয়ো কোথায়? এমনকি আমার বাবাও একথা বলেছিলেন। বাবা আত্মীয়দের বলেন, পর্ন সাইটের লোকজন নাকি ৫০ লক্ষ টাকা দাবি করছেন। আমি কিছুই বুঝিনি সেদিন, কিছু বলতেও পারিনি। কারণ আমায় মারধর করা হয়েছিল, কিন্তু কেন মার খাচ্ছি বুঝতে পারিনি। আমি কিছু লোকজনের ’শিকার' হয়ে গিয়ছিলাম। আত্মীয়স্বজন একপ্রকার, নিজের বাবাও এমন করলে মেনে নেওয়া সহজ ছিল না। দু'বছর অনেক শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার সহ্য করেছি, লোকজন খারাপ শব্দে আমায় ডাকত। বাবা এমন মারতেন যতক্ষণ না অজ্ঞান হয়ে যাই। তখন মনে হত আত্মহত্যা করি। তারপর ১৭ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই।'
আরও পড়ুন-ববি হাকিম কন্যার ইফতার পার্টিতে নুসরত, সায়নী, পূজা, দাওয়াতে জমিয়ে হল খাওয়া দাওয়া
আরও পড়ুন-প্রীতি ও তাঁর ছোট্ট মেয়েকে হেনস্থা, অর্জুন বললেন, আমায় জানালে গিয়ে পিটিয়ে আসতাম
উরফি বলেন, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ার পর লখনউতে একটা বাড়িতে ভাড়া থাকতাম আমি এবং আমার বোনেরা। টিউশন পড়িয়ে ভাড়া দিয়েছি। এরপর সেখান থেকে দিল্লিতে এক বন্ধুর ফ্ল্য়াটে চলে যাই, কল সেন্টারে চাকরি করতাম। তারপর সেখান থেকে মুম্বই-এ এসে পেয়িং গেস্ট থাকতাম। বিভিন্ন অডিশন দিতে শুরু করি, ফ্যাশানের প্রতি সবসময়ই আমার আগ্রহ ছিল।’
উরফি জানিয়েছেন পরবর্তী সময়ে তাঁর বাবা তাঁদের ছেড়ে অন্য একটা বিয়ে করলে আমাদের জীবনে শান্তি ফিরে আসে।