প্রায় দীর্ঘ ২০ বছর কোরিওগ্রাফার হিসাবে কাজ করছেন। সম্প্রতি করণ জোহরের 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি' ছবির গানগুলির জন্য কোরিওগ্রাফার হিসাবে কাজ করেছেন বৈভবী মার্চেন্ট। সম্প্রতি হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বৈভবী বলেন, ছবির গানগুলি গল্প বলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি'র গানগুলির হাত ধরে যশ চোপড়া ও সঞ্জয়লীলা বনশালিকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন করণ জোহর। তবে শুধু এই দুই পরিচালককেই নয়, মনমোহন দেশাই, রাজ কাপুর, গুরু দত্তর মতো পরিচালককেও এই ছবির হাত ধরে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। সাক্ষাৎকারে সেবিষয়েও কথা বলেন বৈভবী। ছবিতে 'ডোলা রে ডোলা রে' গানটি কীভাবে নতুন করে দুই পুরুষ অভিনেতার হাত ধরে তৈরি করা হয়েছিল সেবিষয়ে কথা বলেছেন বৈভবী।
এখানেই শেষ নয়, ছবির কাশ্মীরের দৃশ্যে আলিয়াকে রকির কথা ভাবতে দেখা যাবে। আর তখনই রয়েছে 'তুম কেয়া মিলে' গানটি। বৈভবী মার্চেন্ট বলেন, 'এই গানটি করণ হো গয়া হ্যায় তুঝকো তো প্যায়ার সাজনা (দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে থেকে) স্টাইলের বানিয়েছেন, আদিত্য চোপড়াকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য। যে গানের দৃশ্যে শাহরুখ-কাজলকে দেখা গিয়েছিল। সেখানে শাহরুখের মনে প্রেমের অনুভূতি হয়েছিল। যদিও এক্ষেত্রে করণ একটু সংশয়ে ছিলেন, এই গানটি এই ছবিতে রাখা ঠিক হবে কিনা! চ্যালেঞ্জ ছিল রণবীরকে দিয়ে এই গানের শ্যুটিং করানো। করণ, 'গুণ্ডে' ছবিতে প্রিয়াঙ্কা সঙ্গে একটা গান ছাড়া রণবী সিং এধরনের ঠোঁট নাড়তে হবে এমন কোনও গানের দৃশ্যে শ্যুটিং করেননি'।
বৈভবী আরও বলেন,' একই বিষয় আলিয়ার ক্ষেত্রেও। আলিয়াও তাঁর প্রথম ছবিতে ‘ইশক ওয়ালা লাভ’ গানের সামান্য কিছু দৃশ্য ব্যতীত এরকম একটা গানের শ্যুটিং কখনও করেননি। তবে আলিয়া নিজেই একদিনের জন্য শাহরুখের কাছে দৌড়েছিলেন। পুরো বিষয়টি কীভাবে করবেন তা বুঝতে। কারণ, এখানে কীভাবে আঁচল সামলে, শাড়ি সামলে, আবার নায়কের হালকা ধাক্কা দিয়ে নাচার বিষয় ছিল, সঙ্গে নিজের চুলও ঠিক রাখতে হবে আর সেটাও আবার জিরো ডিগ্রি তাপমাত্রায় শিফন শাড়ি পরে। কনকনে ঠাণ্ডার মধ্যে এমন গানের শ্যুটিং মোটেও আলিয়ার পক্ষে সহজ ছিল না।'