রোহিত শেট্টির কমার্শিয়াল বলিউড ছবি ‘দিলওয়ালে’ এবং ক্রিস্টেফার নোলানের সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার ‘ইনসেপশন’-এর তুলনা চেনে কম কটাক্ষের মুখে পড়েননি বরুণ ধাওয়ান। যিনি নিজেও ‘দিলওয়ালে’ ছবির অংশ। একটা সময় ‘বরুণার্দো ডি ক্যাপ্রিও’ (লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিওর নামের সঙ্গে বরুণের নাম মিলিয়ে) নামেও ডাকা শুরু হয়েছিল বরুণকে। নেটিজেনরা বরুণের এই মন্তব্যকে অত্যন্ত হাস্যকর এবং মাথামুণ্ডুহীন বলেই ব্যাখা করেছিলেন। বরুণ ‘স্টুপিড’ ও ‘ইডিয়ট’ এমন শব্দে ছেয়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়া, তবে পরে অবশ্য নিজের মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন বরুণ। তিনি জানান, ‘আমি কোনওদিনই বলিনি যে দিওয়ালে ইনসেপশন-এর মতোন’।
২০১৫ সালে দিওয়ালে রিলিজের আগের এক সাংবাদিক বৈঠকে, এক সাংবাদিক বরুণকে প্রশ্ন করেছিলেন ছবির ট্রেলারে দিলওয়ালের প্লট খুব বেশি প্রকাশ্যে আনা হয়নি। জবাবে বরুণ বলেন, 'আপনি ইনসেপশন দেখেছেন? আপনি সেটা বুঝেছেন? আপনার পছন্দ হয়েছে? তাহলে আপনার দিলওয়ালেও পছন্দ হবে।
আরবাজ খানের শো ‘পিঞ্চ’-এ হাজির হয়ে এই মন্তব্যের ব্যাখ্যা দিয়েছিলেন বরুণ। অভিনেতা বলেন দিলওয়ালের ট্রেলার মুক্তির পর সমালোচনার শিকার হতে হয়েছিল তাঁকে। এরপর এক সাংবাদিকও বলেছিল যে ট্রেলার দেখে কিছু বুঝতে পারা যায়নি। বরুণ যোগ করেন, ‘সেই সময় যখন আমি ওখানে বসে ছিলাম, সেই সময় আমি জানতাম না আম জনতার ট্রেলারটা নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া… তাই আমি শুধুমাত্র একটু ধৃষ্টতা দেখানোর চেষ্টা করছিলাম’।
বরুণ মেনে নেন ওটা খুব বোকা বোকা একটা বক্তব্য ছিল। তবে মিডিয়া বিষয়টিকে তিল থেকে তাল করেছিল। বরুণ যোগ করেন, 'সব জায়গায় লেখা হয়েছিল- ‘বরুণ ধাওয়ান বলেছে দিলওয়ালে ইনসেপশনের মতো’। কিন্তু আমি জীবনে কোনওদিন এই কথা বলিনি। তবে হয়ত আমি খাল কেটে কুমীর এনেছিলাম। ওই কথাটা বলা আমার উচিত হয়নি'।
দিলওয়ালে ছবিতে প্রথমবার শাহরুখের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেন বরুণ। এছাড়াও এই ছবিতে দেখা মিলেছে কাজল ও কৃতী শ্যাননের। আপতত ‘ভেড়িয়া’র শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত বরুণ।