দীর্ঘ ২ দশকের অপেক্ষার অবসান। আজ ঘোষিত হবে ওপার বাংলার একসময়ের চর্চিত মডেল সৈয়দা তানিয়া মাহবুব তিন্নি হত্যা মামলার রায়। সোমবার বাংলাদেশের ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ কেশব রায় চৌধুরী এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন।
২০০২ সালের ১০ই নভেম্বর খুন হয়েছিল তিন্নি। হত্যার পর তাঁর মৃতদেহ গায়েব করে দিতে বুড়িগঙ্গা থেকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল লাশ। কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর চিন-মৈত্রী সেতুর এক পিলারের পাশ থেকে উদ্ধার হয় এক অজ্ঞাতপরিচয় মেয়ের দেহ। পরবর্তিতে জানা যায়, ওটি মডেল তিন্নির মরদেহ। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ, পরবর্তীতে মামলার দায়ভার যায় সিআইডির হাতে। ২০০৮ সালের ৮ নভেম্বর সিআইডি চার্জশিট ফাইল করে, সেইসময়কার বরিশাল দুই আসনের সাংসদ গোলাম ফারুক অভিকে তিন্নিকে হত্যার জন্য দায়ী করে সিআইডি। ব্যক্তিগত সম্পর্কের টানাপোড়েনের জেরেই তিন্নিকে খুন করে গোলাম, জানানো হয়।
২০১০ সালের ১৪ জুলাই অভির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে আদালত। চার্জশিটভুক্ত ৪১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১৮ জনের সাক্ষ্য দেয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। তারপরেও সুবিচার পেতে ১১ বছরের অপেক্ষা।যদিও এই মামলার একমাত্র আসামি গোলাম ফারুক অভি এই মূহূর্তে কানাডায় পলাতক। এর আগে অস্ত্র মামলাতেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত অভি। সরকার আইনজীবী ভোলানাথ দত্ত সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, ‘সোমবার (আজ) মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ধার্য রয়েছে। আশা করছি, রায়ে আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদন্ড হবে'।