প্রয়াত হলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা ভীষ্ম গুহঠাকুরতা। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭২। সম্প্ৰতি, করোনা আক্রান্ত হলেও ধীরে ধীরে সেই সংক্রমণ কাটিয়ে উঠেছিলেন উনি। তবে কোভিড-পরবর্তী নানা সমস্যায় ক্রমশ জর্জরিত হতে থাকেন তিনি। একে একে অঙ্গ বিকল হতে শুরু করেছিল। ভর্তি হয়েছিলেন কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই এদিন দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।কিংবদন্তি পরিচালক সত্যজিৎ রায় এবং তপন সিংহের অন্যতম প্রিয় অভিনেতা ছিলেন ভীষ্ম। বিশিষ্ট অভিনেতার প্রয়াণে শোকাহত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, বিশিষ্ট অভিনেতা ভীষ্ম গুহঠাকুরতার প্রয়াণে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তিনি আজ কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর প্রয়াণে অভিনয় জগতের অপূরণীয় ক্ষতি হল। এরপর শিল্পীর পরিবার-পরিজন ও অনুরাগীদের প্রতিও আন্তরিক সমবেদনা জানান তিনি।
অভিনয়ের পাশাপাশি সমান তালে ভাল পিয়ানো বাজাতেন, ছবিও আঁকতেন, ক্রিকেট খেলতে ভালবাসতেন ভীষ্ম গুহঠাকুরতা। সম্পর্কে সত্যজিৎ রায় ছিলেন তাঁর মামা।সুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন সন্দীপ রায়।
ভীষ্ম গুহঠাকুরতা অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবির মধ্যে অন্যতম হল ‘গণশত্রু’, ‘শাখাপ্রশাখা’, ‘গুপী বাঘা ফিরে এলো’, ‘অন্তর্ধান’, ‘বৈদূর্য্য রহস্য’, ‘ফটিকচাঁদ’, ‘আদালত ও একটি মেয়ে’, ‘হারমোনিয়াম’, ‘বাঞ্ছারামের বাগান'। সত্যজিতের ‘গণশত্রু’, ‘শাখা-প্রশাখা’ তো বটেই, ‘আতঙ্ক’ ছবিতেও সুমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ডান হাত হিসেবে দর্শক এবং সমালোচক মহলে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন।