খলনায়কের চরিত্র দিয়ে অভিনয় শুরু করলেও এক সময়ে তাঁর হাতে শুধু আসতে সদা হাস্যময় চরিত্রের অফার। সে সব চরিত্রের প্রতি পুরোমাত্রায় সুবিচারও করেছিলেন রমেশ দেও।
‘আনন্দ’ ছবির সেই বিখ্যাত দৃশ্য মনে আছে? রাজেশ খান্নার লিপে ‘ম্যানে তেরে লিয়ে হি সাত রং কে সপনে’। আর তাঁর মুখোমুখি বসে আছেন সস্ত্রীক ডক্টর প্রকাশ কুলকার্নি। মুখে হাসি। জানেন, যে লোকটি গান গাইছে, সে আর বেশি দিন নেই। তবু দুঃখ চেপে রেখেছেন হাসি দিয়ে। ডক্টর কুলকার্নির ভূমিকায় রমেশ দেও।
এভাবেই একের পর এক আইকনিক ছবির অংশ হয়ে গিয়েছেন তিনি। কখনও প্রধান চরিত্রের অভিনেতা হয়ে ওঠেননি সেভাবে। কিন্তু প্রতিটি ছবিতেই এমন এক চরিত্রে থেকে গিয়েছেন, যে চরিত্রটি না থাকলে ছবিটি সম্পূর্ণই হত না।
বুধবার মুম্বইয়ের এক হাসপাতালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন রমেশ দেও। বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। তাঁর ছেলে অভিনয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, রাত ৮.৩০ নাগাদ মৃত্যু হয়েছে রমেশ দেওয়ের।
দীর্ঘ কেরিয়ারে কখনও অমিতাভ বচ্চন, কখনও রাজেশ খান্না, কখনও শত্রুঘ্ন সিনহা, ধর্মেন্দ্র, হেমা মালিনীদের সঙ্গে চুটিয়ে কাজ করেছেন রমেশ। ‘আনন্দ’, ‘আপ কি কসম’, ‘মেরে আপনে’, ‘ড্রিম গার্ল’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন তিনি। কাজ করেছেন প্রচুর মারাঠি ছবিতেও।
তবে শেষ জীবনে প্রচারের আলো থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছিলেন রমেশ দেও। শেষ বেলাতেও বিদায় নিলেন অন্তরালে থেকেই।