হার্টে অস্ত্রোপচার হয়েছে পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাটের। দিন কয়েক আগে পরিচালকের স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। তড়িঘড়ি কাছের এক হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছিল।
রুটিন চেক-আপের জন্য গিয়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজক। সেই সময় চিকিৎসক পরামর্শ দেন তাঁর অস্ত্রোপচার করতে হবে। মহেশের ছেলে রাহুল ভাট বাবার স্বাস্থ্য সম্পর্কে আপডেট দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর বাবাকে এই সপ্তাহের শুরুতে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সেখানে হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, এখন বাড়ি ফিরেছেন মহেশ ভাট এবং অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠছেন।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে রাহুল ভাট জানিয়েছেন, ‘সবকিছু ঠিকঠাকই হয়েছে। তিনি এখন ঠিক আছেন এবং বাড়ি ফিরেছেন। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না। হাসপাতালে খুব বেশি লোককে প্রবেশ করার অনুমতি ছিলনা'। প্রতিবেদন অনুসারে, সোনি রাজদান, পূজা ভাট এবং আলিয়া ভাট সহ পরিবারের অন্য কেউ এই বিষয়ে মন্তব্য করেননি। আরও পড়ুন: অনন্ত-রাধিকার বাগদানে গ্ল্যামারাস লুকে ঐশ্বর্য, মায়ের মতোই সুন্দরী আরাধ্যাও
গত ২০ সেপ্টেম্বর, ৭৪ বছরে পা রেখেছেন পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট। ১৯৭৪ সালে ‘মনজিলে অউপ ভি হ্যায়’ ছবি দিয়ে পরিচালক হিসেবে বলিউডে ডেবিউ করেন তিনি। পরবর্তীতে তিনি 'আর্থ' (১৯৮২), 'সরাংশ'(১৯৯৪), 'আশিকি' (১৯৯০), 'সড়ক' (১৯৯১) এবং 'জখম' (১৯৯৯)-এর মতো প্রশংসনীয় ও সফল ছবি পরিচালনা করেছেন। একজন চিত্রনাট্যকার এবং প্রযোজকও তিনি।
২০২২ সালটা মহেশ ভাটের জন্য ছিল বিশেষ। কারণ ওই বছর তাঁর ছোট মেয়ে আলিয়া ভাট বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। এর মাস কয়েক পরেই পরিচালক-প্রযোজক জানতে পারেন তিনি দাদু হচ্ছে। রণবীর-আলিয়ার দাম্পত্যে নতুন প্রাণের স্পন্দন। প্রথম বার দাদু হয়েছিলেন তিনি।
মেয়ে আলিয়ার মা হওয়ার খবরে সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে মহেশ ভাট বলেছিলেন, ‘এটা তো গ্র্যান্ড ডেবিউ হবে।’ এখানেই অবশ্য থামেননি তিনি। ‘হবু দাদু’ উচ্ছ্বসিত হয়ে জানিয়েছিলেন, ‘জীবনের সবথেকে বড় গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ‘দাদু’ হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। রণবীর-আলিয়ার জন্য আমি ভীষণ খুশি। আমাদের এই ফিল্মি পরিবার আরও বাড়ুক’।