গুরুতর অসুস্থ বর্ষীয়ান পরিচালক শ্যাম বেনেগাল। সূত্রের খবর, দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে পড়েছে জাতীয় পুরস্কার জয়ী পরিচালকের। অসুস্থতার জেরে শয্যাশায়ী ৮৮ বছর বয়সী পরিচালক। শরীর একদম ভেঙে পড়ায় ডায়ালিসিসের জন্য হাসপাতাল যেতে পারছেন না পরিচালক, বাড়িতেই চলছে ‘মণ্ডি’ পরিচালকের চিকিৎসা।
শ্য়াম বেনেগাল ঘনিষ্ঠ একজন সংবাদমাধ্যমকে জানান, গত কয়েক মাস ধরেই পরিচালকের শরীর একদম ভালো যাচ্ছে না। আপতত বাড়িতেই শয্য়াশায়ী পরিচালক। বার্ধক্যজনিত নানান সমস্যা তো ছিলই তবে কিডনি অকেজো হয়ে পড়ায় গত কয়েকদিনে শ্যাম বেনেগালের পরিস্থিতি অত্য়ন্ত বিগড়ে গিয়েছে। বাড়ির ভিতরেই তাঁর অফিস, সেখানেও গত কয়েক দিন যেতে পারছেন না পরিচালক। বয়স বাড়লেও ফিল্মমেকিং নিয়ে শ্যাম বেনেগালের ভালোবাসায় ছেদ পড়েনি একবিন্দু। অসুস্থতার মধ্যেও নিজের চলতি প্রোজেক্ট ‘মুজিব: দ্য মেকিং অফ আ নেশন’ নিয়ে ভাবনাচিন্তা চালিয়ে যাচ্ছেন পরিচালক।
স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিক এই ছবি। ছবির শ্যুটিং পর্ব ইতিমধ্যে মিটেছে। ছবিতে শেখ মুজিবুর রহমানের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশি অভিনেতা আরিফিন শুভ। তরুণী শেখ হাসিনা হিসাবে দেখা মিলবে নুসরাত ফারিয়ার। মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে এই ছবি।
আরও পড়ুন-‘বাদল সরকারের লেখা ডায়লগের জন্য ফিল্মফেয়ার..’, ফের অনির্বাণকে খোঁটা রাণার
শ্যাম বেনেগালের অসুস্থতা নিয়ে তাঁর পরিবারের তরফ থেকে এখনও কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। এই মূহূর্তে ‘ফেডেরেশন অফ ফিল্মস সোসাইটিজ় অফ ইন্ডিয়া’র সভাপতি শ্যাম বেনেগাল। পাঁচ দশক দীর্ঘ তাঁর ফিল্মি কেরিয়ার। ১৯৭৪ সালে ‘অঙ্কুর’ ছবির সঙ্গে ফিল্মমেকিং-এ হাতে খড়ি তাঁর। ‘জুনুন’, ‘মন্থন’, ‘আরোহণ’-এর মতো জাতীয় পুরস্কার জয়ী ছবির পরিচালক তিনি। ভারত সরকারের তরফ থেকে পদ্মশ্রী (১৯৭৬), ‘পদ্মভূষণ’ (১৯৯১) সম্মানে ভূষিত হয়েছেন শ্যাম বেনেগাল। ২০০৫ সালে চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ সম্মান ‘দাদাসাহেব ফালকে’তে ভূষিত হন তিনি। সুভাষচন্দ্র বসুর বায়োপিক ‘বোস: দ্য ফরগটন হিরো’ পরিচালনা করেছেন শ্যাম বেনেগাল।