চিন্তার ভাঁজ সিনেপ্রেমিদের কপালে। গুরুতর অসুস্থ কিংবদন্তি পরিচালক তরুণ মজুমদার। এই মুহূর্তে এসএসকেএম হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন বর্ষীয়ান পরিচালক। আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে তাঁকে, ইতিমধ্যেই কোডিভ টেস্ট করা হয়েছে।
গত ২২ বছর ধরে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তরুণবাবু। এছাড়াও ৯২ বছর বয়সী পরিচালকের ফুসফুসের সমস্যাও রয়েছে। সঙ্গে রয়েছে মধুমেহ। চেস্ট মেডিসিনের চিকিৎসক সোমনাথ কুণ্ডু এবং মেডিসিনের চিকিৎসক সৌমিত্র ঘোষের নেতৃত্বে পাঁচজন চিকিৎসকের একটি দল সারাক্ষণ পর্যবেক্ষণে রেখেছেন ‘আলো’ খ্যাত পরিচালককে।
শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় তরুণ মজুমদারের কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও সেই রিপোর্ট হাতে আসেনি।
কেমিস্ট্রির ছাত্র হলেও শুরু থেকেই ফিল্মমেকিং-এর উপর তীব্র আকর্ষণ ছিল তরুণ মজুমদারের। শচীন মুখোপাধ্যায় এবং দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে ‘যাত্রিক’ নামে টিম তৈরি করে চলচ্চিত্র পরিচালনার কাজ শুরু করেন তরুণ মজুমদার। এই দলের প্রথম ছবি ‘চাওয়া পাওয়া’। এই ছবিতে অভিনয় করেছিলেন উত্তম-সুচিত্রা জুটি। ‘কাঁচের স্বর্গ’ (১৯৬২) ছবির জন্য প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান পরিচালক। এরপর পলাতক, নিমন্ত্রণ, সংসার সীমান্তে (১৯৭৫), গণদেবতা'র মতো বহুল প্রশংসিত ছবি পরিচালনা করেছেন তরুণ মজুমদার। বালিকা বধূ (১৯৬৭), কুহেলী (১৯৭১), শ্রীমান পৃথ্বীরাজ (১৯৭৩), ফুলেশ্বরী (১৯৭৪), দাদার কীর্তি (১৯৮০), ভালোবাসা ভালোবাসা (১৯৮৫), পরশমণি (১৯৮৮) ও আপন আমার আপন (১৯৯০)-এর মতো কমার্শিয়ালি হিট ছবিও দর্শকদের উপহার দিয়েছেন তিনি।
তার সংগ্রহে রয়েছে চারটি জাতীয় পুরস্কার, সাতটি বি.এফ.জে.এ. সম্মান, পাঁচটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও একটি আনন্দলোক পুরস্কার। ১৯৯০ সালে তাকে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করা হয়। ২০১৮ সালে মুক্তি পায় তরুণ মজুমদার পরিচালিত শেষ ছবি ‘ভালোবাসার বাড়ি’। ছবিতে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত ও প্রতীক সেন।