মন খারাপ করা খবর প্রতিবেশী রাজ্য ওড়িশা থেকে। চলে গেলেন ওড়িয়া বিনোদন জগতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী ঝর্ণা দাস (Jharana Das)। বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। এদিন নিজের কটকের বাসভবনেই প্রয়াত হন অভিনেত্রী। বার্ধক্যজনিত একাধিক সমস্যায় ভুগছিলেন অভিনেত্রী, বৃহস্পতিবার রাতে না-ফেরার দেশে পাড়ি দেন তিনি, জানিয়েছে পরিবার।
তাঁর মৃত্যুতে শোকের ছায়া ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে। শোকপ্রকাশ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক, কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান-সহ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।
রাষ্ট্রপতি তাঁর শোকবার্তায় লেখেন, ‘কিংবদন্তি ওড়িয়া অভিনেত্রী ঝর্ণা দাসের প্রয়াণে শোকাহত। ওড়িয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর অবিস্মরণীয় অবদানের জন্য আমরা চিরকাল তাঁকে মনে রাখব। তাঁর পরিবার ও অনুরাগীদের প্রতি জানাই সমবেদনা’।
পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় প্রয়াত অভিনেত্রীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ১৯৪৫ সালে জন্ম ঝর্ণা দাসের। খুব অল্প বয়সেই শিশুশিল্পী হিসাবে ছবির দুনিয়ায় আত্মপ্রকাশ তাঁর। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগতকে তিনি ভালোবেসে ফেলেছিলেন শুরুতেই। বলিষ্ঠ অভিনয়ের পাশাপাশি সুমুধর কন্ঠের অধিকারী ছিলেন প্রয়াত শিল্পী। অল ইন্ডিয়া রেডিয়োতে কাজ করেছেন তিনি। তাঁর কন্ঠ শ্রোতাদের মধ্যে ছিল বিশেষ জনপ্রিয়। প্রশিক্ষিত ধ্রুপদী নৃত্যশিল্পীও ছিলেন ঝর্ণা দাস।
ষাটের দশকের গোড়াতেই অভিনয় জীবন শুরু তাঁর। ‘শ্রী জগন্নাথ’, ‘নারী’, ‘আদিনামেঘা’, ‘পূদাফুলা’, ‘অভিনেত্রী’, ‘মালাঝঞ্জা’, ‘হীরা নেল্লা’র মতো ছবিতে ঝর্ণা দাসের অভিনয় আজীবন মনে রাখবে ওড়িয়া ছবির ভক্তরা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ঝর্ণা দেবী তাঁর জীবদ্দশায় দীর্ঘ সময় ধরে ওড়িয়া দূরদর্শনের অ্যাসিস্টেন্ট ডিরেক্টরের পদ সামলেছেন। তাঁর পরিচালনায় তৈরি হয়েছিল রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী হরেকৃষ্ণ মহতাবের জীবনী নির্ভর তথ্যচিত্র। যা প্রশংসা কুড়োয় সবমহলের। ওডিয়া ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আজীবনের অবদানের জন্য রাজ্য সরকার তাঁকে জয়দেব পুরস্কারে সম্মানিত করেছে। নিজের ছয় দশক দীর্ঘ কেরিয়ারে বহু সম্মান ও পুরস্কার জিতে নিয়েছেন ঝর্ণা দেবী। তবে আজ সবই স্মৃতির পাতায়।