VICCO মানে ‘বিষ্ণু ইন্ডাস্ট্রিয়াল কেমিক্যাল কোম্পানি’। ভিকোর আগে পেনধারকর তাঁর পরিবার চালানোর জন্য মহারাষ্ট্রের নাগপুরে একটি মুদির দোকান চালাতেন। কিন্তু আচমকাই একদিন পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে মুম্বইতে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। বান্দ্রা এবং শহরের অন্যান্য এলাকায় বেশ কিছুদিন নানা রকমের কাজ করেছেন ।
পরে পারেলে চলে যান পেনধারকর। যেখানে তিনি লক্ষ্য করেন সেখানের মানুষেরা অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ এবং বিদেশী প্রসাধনী পণ্যগুলি প্রচুর ব্যবহার করে। এরপরই তিনি নিজস্ব ব্র্যান্ড চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, যা রাসায়নিক মুক্ত কসমেটিক্স ব্র্যান্ডের বিকল্প হবে। আরও পড়ুন: লন্ডনের ছুটি খুব মিস করছেন অনুষ্কা, শেয়ার করা ভিডিয়োতে ঝলক মিলল বিরাট-ভামিকারও
আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র সম্পর্কে প্রচুর জ্ঞান অর্জন করেছিলেন পেনধারকর। তিনি তাঁর শ্যালকের কাছ থেকে সাহায্য নিয়েছিলেন, যিনি আয়ুর্বেদিক ওষুধগুলি জানতেন। বাড়িতেই প্রথম আয়ুর্বেদিক পণ্য টুথ পাউডার তৈরি করেন তিনি। ছেলেকে নিয়ে ঘরে ঘরে বিক্রি শুরু করেন।
পেনধারকরের নাতি সঞ্জীব ‘দ্য বেটার ইন্ডিয়া’কে জানিয়েছেন, ‘তাঁদের পরিবারের একটি তিন রুমের বাড়ি ছিল। রান্নাঘরটি উত্পাদন ইউনিটে পরিণত হয়েছিল এবং অন্যান্য ঘরগুলি গোডাউন এবং অফিসে পরিণত হয়েছিল’। তাঁর কঠোর পরিশ্রমে ফল মিলেছে। খদ্দেররা তাঁর টুথ পাউডার পছন্দ করতে থাকেন। ১৯৫২ সালে পেনধারকর এটির নাম দেন ভিকো। চার বছরের মধ্যে তার কোম্পানি ভালো ব্যবসা করতে থাকে। ১৯৭১ সালে মারা যান কেশব। আজ, তৃতীয় প্রজন্মের উদ্যোক্তা সঞ্জীব কোম্পানি চালাচ্ছেন।
প্রতিষ্ঠার কয়েক বছর পরে, কোম্পানিটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য VICCO চিনি-মুক্ত পেস্ট, VICCO হলুদ ফোম বেস মাল্টিপারপাস ক্রিম ইত্যাদি পণ্যও বিক্রি করে। ৩১ মার্চ ২০২২-এ শেষ হওয়া অর্থ বর্ষে কোম্পানির ৫০০ কোটি টাকা আয় হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ভিকোর পেনধারকরের গল্প বছরের পর বছর বহু মানুষের কাছে অনুপ্রেরণা।