রণবীর কাপুর অভিনীত সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার বিতর্কিত ছবি 'অ্যানিমাল' যখন মুক্তিপায় তখন তার পাশাপাশি মুক্তি পেয়েছিল মেঘনা গুলজার পরিচালিত জীবনীমূলক ছবি 'স্যাম বাহাদুর'। বক্স অফিসে সেভাবে ব্যবসা করতে না পারলেও। ভারতের প্রথম ফিল্ড মার্শাল হিসেবে ভিকি কৌশলের অসাধারণ পারফরম্যান্স সমালোচকদের কাছে অনেক প্রশংসা পেয়েছিল।
সম্প্রতি ভিকির নতুন ছবি 'ব্যাড নিউজ' মুক্তি পেয়েছে। সেখানে তাঁকে 'তৌবা তৌবা' গানে পারফরম্যান্স করতেও দেখা গিয়েছে। এবার এই গানে ভিকির নাচ দেখে চটলেন প্রয়াত সেনাপ্রধান স্যাম মানেকশের মেয়ে। ভিকি নিজেই এক সাক্ষাৎকারে সে কথা জানান।
আরও পড়ুন: শাহরুখকে নিয়ে হলিউডের জনপ্রিয় ছবির রিমেকের কথা জানালেন নিখিল! কোন সিনেমা জানেন?
বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভিকি বলেন, 'স্যাম মানেকশের কন্যা মায়া 'তৌবা তৌবা'-এ আমাকে দেখে, মেসেজ করেছিলেন। তিনি আমাকে লেখেন, 'এই লোকটি কে?' ওঁর প্রশ্নে খুব স্বাভাবিকভাবেই আমি অবাক হয়েছিলাম। ওঁকে জিজ্ঞসা করি 'তুমি কি বলতে চাইছ?' তিনি উত্তর দিলেন, 'পাঁচ মাস আগে আপনাকে দেখে আমি সত্যি বিশ্বাস করেছিলেন যে আমার বাবাকেই সামনে থেকে দেখছি। এখন আপনি এটা করতে পারেন না।' তখন আমি ওঁকে বলি 'এটা আমার কাজ'। এরপর নায়ক হাসতে হাসতে বললেন, 'কিন্তু এটা আমার কাছে সবচেয়ে বড় প্রশংসা বলে মনে হয়েছে।'
আরও পড়ুন: ক্যাটরিনার বিউটি ব্র্যান্ডের পণ্য ব্যবহার করে খুশি ক্রেতা! পালটা উপহার নায়িকারও
ভিকি জানান, এখনও 'স্যাম মানেকশ'-এর চরিত্রে অভিনয় করা তাঁর কাছে সবচেয়ে কঠিন ছিল। নায়কের মতে তিনি এখন পর্যন্ত সে সমস্ত চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর মধ্যে এই চরিত্রটি করতে গিয়ে তিনি 'বিশাল দায়িত্ব'ও অনুভব করেছিলেন। পাশাপাশি তিনি 'স্যাম বাহাদুর'-এর পরিচালক মেঘনা গুলজারেরও যথেষ্ট প্রশংসা করেছিলেন। তাঁর মতে, মেঘনা কাজের ক্ষেত্রে খুব সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম বিষয়গুলিও মাথায় রাখেন। তিনি পরিচালকে কঠোর পরিশ্রমীও বলেছেন। 'স্যাম বাহাদুর' প্রসঙ্গে ভিকি বলেন, 'এই কাজটির আগেও আমি একজন আর্মি অফিসারের ভূমিকায় অভিনয় করেছি। কিন্তু 'স্যাম মানেকশ'-এর মতো একজন কিংবদন্তির চরিত্রে অভিনয় করাটা সত্যি খুব কঠিন, পাশাপাশি অনেকটা দায়িত্বেরও।'
তিনি আরও বলেন, 'আমি আমার বাবা-মায়ের কাছ থেকে তাঁর সম্পর্কে অনেক গল্প শুনে বড় হয়েছি, কারণ ১৯৭১ সালে ভারত- পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হওয়ার সময় আমার মা এবং বাবা দুজনেই পাঞ্জাবে ছিলেন। ওঁরা আমাকে বলতেন কীভাবে ওঁরা অন্ধকারে স্টোররুমে লুকিয়ে পড়াশোনা করতেন। কীভাবে তাঁরা রেডিয়োর মাধ্যমে স্যাম স্যারের নির্দেশের জন্য অপেক্ষা করতেন। এইরকম একজন নায়কের গল্প শুনে বড় হওয়া এবং তারপরে তাঁর চরিত্রে পর্দায় অভিনয় করার সুযোগ পাওয়া আমার জন্য খুব বড় একটা ব্যাপার, সঙ্গে অনেকটা দায়িত্বেরও। এই কাজটা আমার জন্য সত্যিই নার্ভ-রেকিং ছিল, কিন্তু মেঘনা গুলজার যেভাবে সাহায্য করেছেন চরিএটা হয়ে উঠতে তাঁর জন্য আমি খুব খুশি এবং নিজেকে খুব ভাগ্যবান বলে মনে করি।'