স্টান্ট ডিরেক্টর হিসেবে বলিউডের একাধিক বড় বড় ছবিতে কাজ করেছেন ভিকি কৌশলের বাবা শ্যাম কৌশল। স্ট্যান্টম্যান হিসেবে কেরিয়ার শুরু করলেও নিমেষে নিজের জায়গা করে নেন শ্যাম। দঙ্গল, বাজিরাও মস্তানি, পদ্মাবত, কৃশ ৩-র মতো ছবিতে কাজ করেছেন। তবে অনেকেই জানে না, কেরিয়ারের মধ্যগগনে থাকার সময় ক্যানসার ধরা পড়ে শ্যামের। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সময়ের লড়াই নিয়ে কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে।
১৯৯০ সালের ৮ অগস্ট স্টান্ট আর্টিস্ট ইউনিয়নের সদস্য হন শ্যাম। আর ২০২২ সালে ৪২ বছর পূর্ণ করলেন তিনি। রমেশ তলওয়ারের ‘সওয়াল’ ছিল তাঁর প্রথম কাজ। অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করেন ১৯৯০ সালে মালায়লাম সিনেমায়। আর বলিউডে অ্যাকশন ডিরেক্টর হিসেবে প্রথম কাজ নানা পাটেকরের ‘প্রহার’। আরও পড়ুন: দেরি করে আসা নিয়ে পাপারাৎজিদের সঙ্গে বচসা তাপসীর, হাত জোর করে যা বললেন নায়িকা!
২০০৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে স্টমাক ক্যানসার ধরা পড়ে শ্যাম কৌশলের। সে প্রসঙ্গে তিনি ETimes-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানান, ‘‘লক্ষ্যর শ্যুট সেরে তখন সবে লাদাখ থেকে ফিরেছি। পেটে সমস্যা শুরু হয়। শ্যাম বেনেগালের ‘নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস’-এর কাজ চলছে। দিওয়ালির কারণে একদিন ছুটি ছিল। পেটে অসম্ভব যন্ত্রণা। পরেরদিন নানাবতী হাসপাতালে ভর্তি হই। ওরা আমার পেটে একটা অপারেশন করে। অনেক জটিলতা ছিল। এর আগে একবার আমি ওই হাসপাতালে গিয়েছিলাম নানা পাটেকরের সঙ্গে অ্যাপেনডিক্স অপারেশনের জন্য। তাই ওরা আমাকে চিনত। আরও পড়ুন: সলমনকে নিয়ে স্পিকটি নট! কাভি ইদ কাভি দিওয়ালি থেকে বাদ পড়ার খবরে শেহনাজ লিখলেন…
ডাক্তাররা নানা পাটেকরকে ফোন করে। নানাজি তখন পুণেতে শ্যুট করছে, সব ছেড়ে চলে আসেন সোজা হাসপাতালে। আমি তখন অজ্ঞান। আমার পেটে একটা ইনফেকশন ছিল। সেটা কেটে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। দেখা যায় ক্যানসার হয়েছে। আমি নিশ্চিত ছিল না আমি বাঁচব না মরব। এর আগে এটা নিয়ে কারও সঙ্গে সেভাবে কথা বলিনি। ৫০ দিন হাসপাতালে ছিলাম। তারপর কাজে ফিরেছিলাম। তারপর ১ বছর আমাকে নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। ভগবানের কৃপায় ক্যানসারটা ছড়ায়নি। ওই ঘটনার ১৯ বছর হয়ে গিয়েছে।’’
সেইসময় যে মানসিক দ্বন্দ্ব চলছিল মনে তা নিয়েও কথা বলেন শ্যাম কৌশল। বললেন, ‘‘আমি তো এটাও ঠিক করেছিলাম হাসপাতালের তিন তলা থেকে ঝাঁপ দিয়ে নিজের জীবন দেব। কারণ আমি ওভাবে বাঁচতে চাইনি। কিন্তু পেটের অপারেশনের কারণে সেই সময় বিছানা থেকে ওঠার হালও আমার ছিল না। আমি ভগবানকে বলি, ‘এটা শেষ করে দাও দয়া করে। আমার কোনও আফশওস নেই। গ্রাম থেকে এসেছি, আমপনার আশীর্বাদে অনেক কিছু করেছি। কিন্তু আপনি যদি আমাকে বাঁচাতে চান এভাবে দুর্বল করে দেবেন না।’ এরপর আমার মন শান্ত হয় অনেকটা।’’